সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারী জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। এইসব বর্বর হামলাকারীরা জান্নাত তো দূরের কথা জাহান্নামেও জায়গা পাবে না। রাজধানীর গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা আমাদের দেশের জন্য লজ্জাজনক।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন- বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল তখন এই ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। এমন কাজ যারা করেছে, এটি ঘৃণ্য অপরাধ। তারা তো মসজিদে নববীতেও বোমা হামলা করেছে।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের কূটনীতিক পাড়ার অভিজাত এক রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ যায় ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানের।
পরদিন শনিবার (২ জুলাই) সকালে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে এবং পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার ঠিক ৭ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ও সন্ত্রাসী আবির নিহত হন। এছাড়া পুলিশসহ গুরুতর আহত হন আরো অন্তত ৮ জন।
সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ঘটনা তদন্তে তিন দেশের প্রযুক্তি সহায়তা নেয়ার কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। দেশ তিনটি হচ্ছে- ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর। এরই ধারবাহিকতায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকায় আসেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
রিলিজিয়াস স্পিরিট নয়, অ্যাডভেঞ্চার থেকেই এইসব জঙ্গি হামলা- গত সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠককালে এমন মন্তব্য করেন নিশা দেশাই। তবে এইসব জঙ্গিদের জয়ী হতে দেয়া হবে না বলেও একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে জানান বিসওয়াল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে গিয়ে কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সচেতন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’ জঙ্গি নির্মূলে প্রয়োজনে অতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও অপর এক বক্তব্যে বলেন সরকারপ্রধান।
এদিকে সাম্প্রতিক হামলায় জড়িতদের বেশিরভাগই দেখা যাচ্ছে অভিজাত পরিবারের সন্তান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা সদ্য পাস করে বের হওয়া তরুণ। এরা ধর্ম চর্চা শুরু করেছে খুব সাম্প্রতিক সময়ে। আগে থেকে ধর্মের বিষয়ে তাদের উল্লেখযোগ্য জ্ঞান ছিল বলে কোনো প্রমাণ নেই। ফলে এসব তরুণ কীভাবে কার মাধ্যমে এমন উগ্রবাদী আদর্শে উজ্জীবিত হলো তা নিয়ে সব মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি