সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি হাওড় ধ্বংশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত যারা দেখা কথা তারা না দেখে বরং ধ্বংশকারীদের সাথে আতাঁত করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না,অভিযোগের ফাইল টেবিলের উপরেই পড়ে থাকছে। লাল ফিতায় বন্ধিই থাকছে অভিযোগের ফাইল। এমন অভিযোগ হাওড়বাসী সাধারণ মানুষের। এখন আগের মতো আর অতিথি পাখির কোলাহল চুখে পড়েনা একদিকে পাখি শিকারী অপর দিকে ভুমি খেকো চক্র জলজ বন গ্রাস করে যাচ্ছে প্রতিদিন।ইতোমধ্যে দুই শতাধিক একর প্রাকৃতিক জলজবন ধ্বংস করা হলেও ভিসিজির লোকজন ইউএনও, ওসি এবং বনবিভাগের কাছে অভিযোগ করলেও থেমে নেই সংঘবদ্ধচক্র। হাওড়ের বড়লেখা উপজেলা অংশের সাতবিলা ও ফুয়ালা বিলের মাঝে অবাদে চলছে প্রাকৃতিক জলজবন বিলিন করার প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে দুই থেকে আড়াইশ একর জমির জলজবন ধ্বংস করে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। এসব বনভূমি ধ্বংস করে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা এই জলজবনে হিজল করচসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা গাছগাছালি ছিল। জলজবন সংরক্ষণের ভিসিজি ও হাকালুকি জাগরণী ভিসিজির ৪ জন পাহারাদার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তারাই জলজবন ধ্বংসকারী বড়লেখা উপজেলার কয়েকজনের নামে বাড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বড়লেখা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকার্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগ সূত্র জানায়, কয়েকমাস থেকে ওই চক্রটি পর্যায়ক্রমে জলজবন ধ্বংস করছে। যা এখনও অব্যাহত আছে। তাদের অভিযোগের পর বড়লেখা থানার এসআই স্বপন সরকার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু জলজবন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বন ধ্বংসকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের পক্ষে রোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। হাকালুকি হাওর এলাকায় নিয়োজিত বিট অফিসার মোনায়েম হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কোনো আইন নেই। জলাভূমি সংরক্ষণ আইনে তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিলেন না কেন? এর জাবাবে তিনি জানান, আমার কাছে লোকবল নেই। বড়লেখা থানার এসআই স্বপন সরকার জানান, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এটা তো বন বিভাগের ব্যাপার। তারাই ব্যবস্থা নেবে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি