সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পক্ষের ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভাটি অঞ্চল খ্যাত বড় ভাকৈর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়- সোনাপুর গ্রামের মসজিদ উন্নয়নের জন্য সরকারি ডুবা রকম কিছু ভুমি বন্দোবস্ত আনার জন্য গ্রামবাসী একই গ্রামের আব্দুল মালিককে দায়িত্ব দেন। খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকাও দেয়া হয়। কথা ছিলো মালিক গ্রামের পক্ষে আলমাছ মিয়া ও খালেদ মিয়ার নামে বন্দোবস্ত আনবেন। তা না করে আলমাছ ও তার ভাই আবুল কালামের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে আসেন। আলমাছ তার অংশ গ্রামবাসীর নামে বুঝিয়ে দিতে চাইলেও আব্দুল মালিক তাতে সম্মতি হন নি। এনিয়ে গ্রামবাসী এবং আব্দুল মালিক গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ দেখা দেয়।
গত দু’দিন ধরে এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরুব্বীরা একটি শালিসের উদ্যোগ নেয়। সোমবার রাতে পুলিশও যায় ঘটনাস্থলে। গ্রামবাসী শালিসের মত প্রকাশ করলেও আব্দুল মালিক ও জাকির মিয়াগংরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানানোর কথা বলে সময় নেন। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই গ্রামের রাব্বি মিয়া ও নাদিম মিয়া স্থানীয় বাজারে তাদের ব্যবসায়ীক দোকানে যাবার সময় তাদের পথরোধ করে মালিক, জাকির, আনোয়ার বাদশা, লিলু মিয়ার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একদল লোক তাদের উপর হামলা ও মারপিট করে তাদের কাছে থাকা নগদ কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে জানাযায়। এই খবর গ্রামে পৌঁছলে গ্রামবাসী ও আব্দুল মালিক গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে স্থানীয়রা আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
(সুরমামেইল/এমএএ)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি