নবীগঞ্জে ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকা অনুপস্থিত

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫

নবীগঞ্জে ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকা অনুপস্থিত

স্বামী ও সন্তানের সাথে ফ্র্যান্সে সহকারী শিক্ষিকা ফালগুনি পাল ও পর্তুগালে মাসুমা সুলতানা। বাঁ থেকে


নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ৩ বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন দুইজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তারা কোন অনুমতি না নিয়ে একজন ফ্র্যান্স একজন পর্তুগালে অবস্থান করছেন। এনিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে, শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়ে এলাকাবাসী কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। চরম ভাবে বিঘ্ন ঘটছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। প্রধান শিক্ষিকা জানান অনেক কষ্টে ক্লাস দান পদ্ধতি চলছে।

 

জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার দাউদ পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্ধা জিতেন্দ্র পালের মেয়ে ফালগুনি পাল ইতি ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের তাজ উদ্দিন আহমদের মেয়ে মাসুমা সুলতানা গাজী গত ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।

ওই দুই শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে না আসার কারনে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। ৫ জনের কর্মস্থলে তিনজন শিক্ষক এখন অনেক কষ্টে পাঠদান গ্রহন করছেন। ওই দুইজন শিক্ষিকা উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বা প্রধান শিক্ষিকাকে কোন কিছু না জানিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

 

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সহকারী শিক্ষিকা উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্ধা জিতেন্দ্র পালের মেয়ে ফালগুনি পাল ইতি ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি তার স্বামীর সাথে ফ্র্যান্স চলে গেছেন। সেখানে তিনি নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন।

 

একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের তাজ উদ্দিন আহমদের মেয়ে মাসুমা সুলতানা গাজী গত ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনিও তার স্বামীর সাথে পর্তুগালে চলে গেছেন এবং সেখানে নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন। ফলে ওই দুই শিক্ষিকা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

 

বিষয়টি এলাকাবাসী ও প্রধান শিক্ষিকা নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানানো হলেও তারা কর্নপাত করছেন না রহস্যজনক কারনে।

 

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তবারুক বেগম বলেন, আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা দুইজন দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার কারনে ক্লাসে পাঠদানে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শিগরিই উক্ত পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি। আমি এবং আমার কমিটি একাধিকবার জানালে ওই পদগুলো শুণ্য ঘোষণা করা হচ্ছে না।

 

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: রোমান মিয়া বলেন, উক্ত পদগুলোর জন্য শুণ্য ঘোষণা করার জন্য হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমাদের কাছে তারা কোন লিখিত কোন ছুটির জন্য আবেদন করেননি। তাই বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

তিনি বলেন, নানা জটিলতার পদ শূন্য ঘোষণা করতে বিলম্ভ হচ্ছে।

 

(সুরমামেইল/এমএএ)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com