সিলেট ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৫ মে আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী তারিখে খালেদা জিয়া উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গ্রেপ্তারি পরোয়ানার যে আবেদন করেছেন তা বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।
সোমবার (২৫ এপ্রিল ) রাজধানীর বকশিবাজারস্থ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই নির্দেশ দেন।
এর আগে দুই মামলায়ই খালেদা জিয়ার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিতির জন্য আবেদন জানান তার অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। অপরদিকে এ মামলায় শুনানির অপেক্ষায় থাকা হাইকোর্টে খালেদার রিভিশন আবেদনের বিষয়ে সার্টিফাইড কপি আদালতে দাখিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।
পরে আদালতের বিচারক আবেদন দুটি বিবেচনা করে বলেন, আবেদন দুটি শুনলাম। আবেদন দুটি বিবেচনা করলাম। ন্যায়বিচার ও বিচারকে দৃশ্যমান করতে প্রথম আবেদনটি মঞ্জুর করলাম। পাশাপাশি হাইকোর্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য দ্বিতীয় আবেদনও মঞ্জুর করলাম। আশা করছি আগামী ২/৩ মে তারিখের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদনটির শুনানি শেষ হবে।
বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আরো বলেন, আগামী তারিখে ( ৫ মে) আইনজীবীরা খালেদার উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন, তাতে হাইকোর্ট যে অর্ডারই দিক না কেন। এমনকি ওই দিন মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আইনজীবীদেরকে প্রস্তুতি নিয়ে আসতেও নির্দেশ দেন তিনি।
তবে আগামী তারিখে খালেদা জিয়া উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যে আবেদন করেছেন (গ্রেপ্তারি পরোয়ানার) তা বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি