পথশিশুরা ড্যান্ডি নামের মরণ নেশায় আসক্ত

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

পথশিশুরা ড্যান্ডি নামের মরণ নেশায় আসক্ত

মো.শাকির আহম্মেদ:: আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন এই সোনার দেশটাকে আরো সুন্দর করে তুলবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। সর্বনাশা মাদকে জড়িয়ে পড়ে নিজেদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে হাজারো শিশু-কিশোর। মাদকে সম্পৃক্ত শিশু-কিশোরদের মাঝে সব থেকে ‘প্রিয়’ নেশার নাম হলো ‘ড্যান্ডি’। চামড়া বা চামড়া জুতা জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহৃত আঠা (টলুইন) ও পলিথিনের সাহায্যে তৈরি করা হয় এ মাদক। পলিথিন ব্যাগে এই আঠা ভরে কয়েকটি ঝাকি দিলেই তৈরি হয়ে যায় ‘ড্যান্ডি’। পরবর্তী কাজ প্রস্তুতকৃত পলিথিনের ভেতরে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ নেয়া। এই ‘ড্যান্ডি’ নেশায় আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর।

মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে কয়েক বছর ধরে শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে দেখা যায় একদল পথশিশুরা পলিথিনের ভিতরে গাম নিয়ে ওপেন ড্যান্ডি নামে মরণ নেশা করছে। শুধুমাত্র গামের আঠার নেশায় সীমাবদ্ধতা নয় তারা অনেক সময় সিগারেটসহ সুযোগ বুঝে যা পায় তা দিয়ে নেশা করে শিশুরা। এই করোনা মহামারীতেও তাদের এই নেশা করা থেমে নেই।
করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। শ্রীমঙ্গলে পথশিশুদের বেশিরভাগ শহরের কলেজ রোড সাব রেজিস্ট্রার অফিসে পিছনে, হবিগঞ্জ রোড সোনালী মার্কেটের সামনে, স্টেশন রোড রাধানাথ সিনেমা হলের সামনে ও রেল স্টেশনে ড্যান্ডি নামের মরণ নেশা করতে দেখা যায়।

শ্রীমঙ্গলের সচেতন মহলের দাবি এই করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধির সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তারা নিজেরা যেমন করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে তেমনি তাদের দ্বারা অন্য ব্যক্তিরাও আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে। তাই দ্রুত গতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই পথশিশুদের যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিথী

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com