প্রতিশোধের নেশা : খাদিজার উপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন

প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৬

প্রতিশোধের নেশা : খাদিজার উপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিনিধি :: বার বার প্রেম প্রত্যাখ্যান হওয়ায় প্রতিশোধের নেশায় মেতে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে প্রকাশ্যে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে কোপিয়ে গুরুত্বর যখম করে শাবি ছাত্র বদরুল আলম। এদিকে হামলাকারীর ফাঁসির দাবিতে উত্তাল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ পুরো সিলেট নগরী।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কুখ্যাত এ হামলার প্রতিবাদে টিলাগড় পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরাও। এ সময় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: এদিকে খাদিজার উপর এমন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে খাদিজার হামলাকারী বদরুলের শাস্তি দাবি করা হয়। এছাড়া, তিনদফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন তারা। খাদিজার সহপাঠিরা।

তিনদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তর, আসামী বদরুলের ফাঁসি নিশ্চিত করা এবং পরীক্ষার হল ও যাতায়াতের সময় ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নগরীর চৌহাট্টাস্থ সরকারী মহিলা কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কলেজের ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, শাবি ছাত্রলিগের সহ-সম্পাদক বদরুলের হাতে সোমবার বিকেলে ছুরিকাহত হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। তাকে বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসদের বাড়িতে লজিং থাকত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। সেখানে থাকাকালে মেয়েটির কাছে প্রেম নিবেদন করে সে। নার্গিস বারবার প্রত্যাখ্যান করে। এর জের ধরেই সোমবার বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোপাতে থাকে বদরুল। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। তারা নার্গিসকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com