প্রতি বছর পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর ধাক্কা সামলানোর সামর্থ্য জার্মানীর আছে আছে

প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫

প্রতি বছর পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর ধাক্কা সামলানোর সামর্থ্য জার্মানীর আছে আছে

AL-sigmar-gabriel-2901e_2x

সুরমা মেইলঃ জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর বলেছেন, প্রতি বছর পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর ধাক্কা সামলানোর সামর্থ্য জার্মানীর আছে।

ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীদের স্রোত সামাল দিতে ইউরোপীয় কমিশনের নেতারা যখন আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন তখনই জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর জিগমার গ্যাব্রিয়েল এই মন্তব্য করেছেন।

বর্তমান সঙ্কটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই সিরিয়া থেকে এসেছেন।

বলা হচ্ছে ইউরোপে যে অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীর যে স্রোত এখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা আর দেখা যায়নি।

আর এই স্রোতের মূল ধাক্কা গিয়ে পড়ছে জার্মানির ওপর। ২০১৫ অর্থাৎ বর্তমান বছরে জার্মানীতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে, যে সংখ্যা ২০১৪ সালের তুলনায় চারগুণ।

জার্মানীর ভাইস চ্যান্সেলর অর্থাৎ দ্বিতীয় শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যাক্তি জিগমার গ্যাব্রিয়েল বলছেন, আগামী বেশ কিছু বছর ধরে তার দেশ প্রতি বছর অন্তত ৫ লাখ করে শরণার্থীকে জায়গা দিতে পারবে। কোন অসুবিধা হবে না।

তবে একইসাথে মি গ্যাব্রিয়েল বলেন, জার্মানী অর্থনীতি শক্তিশালি বলে ইউরোপের অন্যরা কেউ দায় দায়িত্ব নেবেনা, তা হতে পারেনা।

ওদিকে শরণার্থীর দায়ভার কার কতটুকু হবে – তা নিয়ে ইউরোপ জুড়ে যখন মতভেদ তীব্রতর হচ্ছে, সে সময় সিরিয়া এবং সেই সাথে অন্যান্য কিছু দেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীর স্রোত অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের হিসেবে, কেবল সোমবার মেসিডোনিয়াতে রেকর্ড ৭০০০ সিরিয় শরণার্থী হাজির হয়েছে। আর সমুদ্র পথে গ্রীসের বিভিন্ন দ্বীপে ৩০,০০০ অভিবাসী এসে হাজির হয়েছে। এবং তাদেরকে দ্রুত জার্মানীতে যেতে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করেছে।

এখন পর্যন্ত জার্মানী এসব অভিবাসীদের স্বাগত জানালেও, ইউরোপের বহু দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

হাঙ্গেরি তাদের সঙ্গে সার্বিয়ার সীমান্তে দ্রুত দেয়াল তুলছে। গ্রীসের একজন মন্ত্রী বলেছেন প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নতুন অভিবাসীর চাপে দ্বীপটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ওদিকে ১৬০,০০০ আশ্রয়প্রার্থীর দায় ইউরোপের কোন দেশকে কতটা নিতে হবে, তার একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আগামীকাল ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যক্লদ ইয়ংকার ঘোষনা করবেন। তবে তার আগেই চেক রিপাবলিক, সোলাভাকিয়া, রোমানিয়াসহ কিছু দেশ সাফ জানিয়েছে তারা বাধ্যতামুলক কোনো কোটা মানবে না।

সুত্রঃ বিবিসি

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com