প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পেলো সাংবাদিক তুরাবের পরিবার

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পেলো সাংবাদিক তুরাবের পরিবার

সুরমামেইল ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিহত হওয়া সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

রোববার (২৮ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান গ্রহণ করেন তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর। এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত আরও ৩৩ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুদানের মধ্যে ছিলো পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।

 

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে আবুল আহসান বলেন, শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক আমাদের খবর দেন এবং সরকারি খরচে উড়োজাহাজে আমরা ঢাকায় পৌছাই। আজ (রোববার) দুপুরে গণভবনে আমার হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুন সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব।

 

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ, সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারসহ মোট ৩৪টি পরিবারের লোকজন রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রীর চোখেও তখন অশ্রু দেখা যায়।

 

এ সময় স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। কাজের আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আর আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

 

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে সৃষ্ট আন্দোলনে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন এবং খেলাফত মজলিস। মিছিলটি জিন্দাবাজার অভিমুখে রওয়ানা হয়। মিছিলকারীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিল পুলিশ। তখন এসএমপির সহকারী কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পেছন থেকে মিছিলে টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়েন। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব।

 

গুরুতর অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘণ্টা দুয়েক পর পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে সহকর্মীরা ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

 

(সুরমামেইল/এফএ)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com