ফাঁস হয়ে গেলও নায়িকা মাহি-শাওনের গোপন তথ্য

প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০১৬

ফাঁস হয়ে গেলও নায়িকা মাহি-শাওনের গোপন তথ্য

216402_1সুরমা মেইল : নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ‘গুঞ্জন’ এবার সত্যি প্রমাণিত হলো। ফাঁস হলো শাওনের সঙ্গে নায়িকা মাহিয়া মাহির বিয়ের নিকাহ নামা।

শাওন-মাহির নিকাহ নামা
শাওন-মাহির নিকাহ নামা

এতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, গত বছরের ১৫ মে শাহরিয়ার ইসলাম শাওনকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। বিয়ের দেনমোহর ছিলো চার লক্ষ টাকা।

ফাঁস হওয়া ওই কাবিননামায় মাহির জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২৭/১০/১৯৯৪ আর শাওনের ১৫/০২/১৯৯৪। বিয়েতে মাহির উকিল হিসেবে ছিলেন মোঃ হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় থাকেন।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া মাহি-শাওনের কিছু ছবির প্রেক্ষিতে এ খবর ছড়িয়েছিলো যে, পারভেজ মাহমুদ অপু মাহির প্রথম স্বামী নয়, এর আগে তার বিয়ে হয়েছিল শাওনের সঙ্গে।

মাহি সেটা অস্বীকার করেছেন বরাবরই। শুধু তাই নয়, রাজধানীর উত্তর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহরিয়ার ইসলাম (শাওন) ও তার বন্ধুদের আসামী করে একটি মামলা করেন (নং-৩১/তাং- ২৮/০৫/২০১৬)।

শাওনের বিরুদ্ধে মাহির এজাহার
শাওনের বিরুদ্ধে মাহির এজাহার


এজাহারে বাদী শারমীন আক্তার নিপা (মাহি) উল্লেখ করেন, ‘আমার পূর্বপরিচিত (বন্ধু) শাহরিয়ার ইসলাম শাওন (২৩), পিতা- নজরুল ইসলাম, মাতা- শিউলি আক্তার, বাসা- ক/১৩, দক্ষিণ বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা তার কাছে থাকা আমাদের কিছু অন্তরঙ্গ স্থিরচিত্র কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে তার সাথে তার বন্ধু হাসান, আল আমিন, খাদেমুল এবং তার খালাতো ভাই রেজওয়ান জড়িত রয়েছে বলে আমার ধারণা। উল্লেখ্য  যে, গত ২৫/০৫/২০১৬ খ্রি তারিখ অন্যত্র আমার বিবাহ সম্পাদিত হয়। এখনও বিবাহপরবর্তী অনুষ্ঠান চলছে। এই অবস্থায় আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তারা এসব করছে।’

এজাহারে আরো বলা হয়, ‘ছড়িয়ে দেয়া এসব ছবি আমার উল্লিখিত বন্ধু (শাওন) ছাড়া আর কারও কাছে ছিল না। শাওন এবং তার বন্ধু-বান্ধব মিলে আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হরণ করে আমার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমার অনুমতি ব্যতিত গণমাধ্যম, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতায় প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য যে, ছবিগুলো medipolli.com, bn.newsi24.info প্রভৃতি অনলাইন মিডিয়া এবং Fi Dipu, Saif Chandan প্রভৃতি নামের ফেসবুক একাউন্ট থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য প্রকাশ করেছে।’

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী

এ মামলায় রাজধানীর বাড্ডার নিজ বাসা থেকে শাওনকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেন, বাড্ডার কাজী অফিসে তার সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। বিয়ের কাগজপত্রও ডিবির তদন্তকারী টিমের কাছে উপস্থাপন করেন শাওন।

এর আগে মাহি বিভিন্ন সময় ফেসবুকে শাওনের সঙ্গে অনেক ছবিই পোস্ট করেন। ওই সব নিয়ে কথা রটলে শাওনকে ‘শুধুই কাছের বন্ধু’ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মাহি।

জানা গেছে, শাওন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজে একই ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিলেন শাওন ও মাহি। ঐ সূত্র ধরে তাদের মধ্যে স্কুল জীবন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার শাওনের বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি গুলশানের একজন ব্যবসায়ী।

এদিকে মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো শাওনের ঘণিষ্ঠজনরা জানিয়েছে, মাহির বিরুদ্ধে তিনি প্রতারণা মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শাওনের পক্ষে তার আইনজীবী বুধবার আদালতে এ মামলা দায়ের করতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com