সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ভাবির পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রাণ হারালো আপন ননদ তাহমিনা (৭)। সোমবার দুপুরে নিখোঁজ হওয়া তাহমিনা রাতে তার ভাবির বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় তাহমিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া তাহমিনা বেগম উপজেলার পশ্চিম আশিঘর গ্রামের দিন মজুর মতই মিয়ার মেয়ে সে আশিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় শিশু তাহমিনার ভাবি রুবিনা বেগম (২২) ও তার অনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গী তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাস ছয়েক আগে আশিঘর গ্রামের মতই মিয়ার ছেলে রুহেল মিয়া একই গ্রামের রওশন মিয়ার কন্যা রুবিনাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। রুবিনার বাবা রওশন আলী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এলে রুবিনা বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত সোমবার সকালে তাহমিনা প্রতিদিনের মতো স্কুলে চলে যাওয়ার পর তাহমিনার মা জমিলা বেগম বিশেষ কাজে ঘর তালা দিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যান। কাজ শেষে দুপুর বেলা জমিলা বেগম বাড়ি ফিরে দেখেন বারান্দায় তাহমিনার পাঠ্যবই ও পায়ের সেন্ডেল পড়ে রয়েছে, তাহমিনা নেই। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। নিখোঁজ তাহমিনার খোঁজ পেতে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। তাহমিনার সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায়, স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাহমিনা বলেছে সে ভাবি রুবিনার বাড়িতে যাবে। সহপাঠীর কাছ থেকে এই তথ্য পেয়ে তাহমিনার পরিবারের লোকজন রুবিনাকে তাহমিনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতে থাকেন। তার ভাবভঙ্গি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে রাতে রুবিনাদের ঘরের পেছনে টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় তাহমিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের মুখ মন্ডল ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে তাহমিনা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রুবিনা বেগমকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের শরিফ, সুলেমান ও আজমানকে থানায় আটক করে নেয় পুলিশ। তাহমিনার ভাই রুহেল মিয়া বলেন, কুকীর্তি দেখে ফেলায় আমার বোনকে অপকর্মের সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করেছে রুবিনা।তিনি বলেন, শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পর থেকে একই গ্রামের শরিফ উদ্দিন ও আরিফ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন যুবকের সঙ্গে রুবিনা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মীর নাসের বলেন, লাশের আলামত দেখে বুঝা যাচ্ছে তাহমিনাকে হত্যা করা হয়েছে। তাহমিনার ভাবি রুবিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি