সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ার পর কাজে ফিরেছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানি-এনটিসির সবকটি বাগানের শ্রমিকরা।
সোমবার ৬ সপ্তাহের মধ্যে দু-সপ্তাহের তলব (মজুরি) পেয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন বলে জানান এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক।
শ্রমিকদের মজুরি তিন মাস ধরে বন্ধ ছিল। এর আগে বেতনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন চা শ্রমিকরা। অবশেষে বকেয়া পেতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
এনটিসির মালিকানাধীন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ১২টি বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন এমদাদুল হক। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বাকি সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডিসেম্বর থেকে আর বেতন বকেয়া পড়বে না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু গোয়ালা বলেন, এনটিসির মালিকানাধীন চা বাগান শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া দেওয়ার পর শ্রমিকেরা বাগানে কাজ করেছেন। শ্রমিকদের বাকি সপ্তাহের বকেয়া পর্যায়ক্রমে দিবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের দলদলি চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিন্টু দাস বলেন, সকাল থেকে চা শ্রমিকেরা বাগানে কাজ করেছেন। সোমবার তাদের বকেয়া মজুরি দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া ও দলদলি এই তিনটি বাগানসহ এনটিসির অধীনে থাকা বাকি বাগান মিলে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক আছেন। আর তাদের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া থাকায় সবাই কষ্টে দিন কাটিয়েছেন বলে জানান মিন্টু দাস।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ আগস্ট থেকে ৬ সপ্তাহ মজুরি না পেয়ে কাজ বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা। প্রায় ৩ মাস ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান, শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদফতর কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও ন্যাশনাল চা কোম্পানির যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বকেয়া ৬ সপ্তাহের মজুরি দুই থেকে তিন কিস্তিতে দেওয়া হবে। এরমধ্যে দুই সপ্তাহের মজুরি গতকাল (সোমবার) দেওয়া হয়েছে। মজুরি পেয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
(সুরমামেইল/এমবিএন)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি