বন্যায় গোয়াইনঘাটে ৮বছরে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১শ ৭১কোটি ৪৮লক্ষ টাকা : হাকিম চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০১৭

বন্যায় গোয়াইনঘাটে ৮বছরে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১শ ৭১কোটি ৪৮লক্ষ টাকা : হাকিম চেয়ারম্যান

Manual6 Ad Code

আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেছেন, গোয়াইনঘাট উপজেলাটি ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায়  পাহাড়ী ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া চলতি বোরো মৌসুমের ফসলসহ এ উপজেলাবাসীর বিগত ৮বছরে প্রায় ১শ ৭১কোটি ৪৮লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

এ উপজেলা দিয়ে প্রবাহমান নদীগুলো খনন না করা ও হাওরগুলিকে বেড়ীবাধের আওতায় না নিয়ে আশায় এ উপজেলাবাসীর ফসল হানির অন্যতম কারণ।

Manual1 Ad Code

বুধবার গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি উক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেছেন, এ উপজেলাটি আয়তনের দিক দিয়ে মেহেরপুর জেলার চেয়েও বড়। ৯টি ইউনিয়নের এ উপজেলায় প্রায় ৩লক্ষাধিক লোকের বসবাস। উপজেলার সিংহভাগ মানূষ কৃষি জমি ও পাথর কোয়ারী নির্ভর। গত ৮বছর থেকে দফায় দফায় বন্যা হয়ে উপজেলাবাসীর প্রতি বছর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হওয়ায় বর্তমানে জনসাধারন যেন মেরুদন্ডহীন অবস্থায় বসবাস করছেন।

Manual3 Ad Code

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চলতি মৌসুমে সরকারী হিসেবে ৪হাজার ৩শ বিশ হেক্টর ফসলী জমির সম্পুর্ন ধান নষ্ট হওয়ার তথ্য প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ৮হাজার’র বেশি জমির ফসলহানী হয়েছে। সরকারী  দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিলেট জেলার মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ উপজেলা। কিন্তু সরকারী যে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা এ উপজেলার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অত্যান্ত অপ্রতুল। এমতা অবস্থায় এ উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমান সরকারী বরাদ্ধ জরুরি প্রয়োজন।

তিনি বিগত ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সরকারী একটি পরিসখ্যান উপস্থাপন করেণ। পরিসখ্যানটি নি¤œরূপ ২০০৮সালে বন্যায় ক্ষতির পরিমান ১৮কোটি টাকা, ২০১০সালের প্রথম দফার বন্যায় ক্ষতি ২২কোটি ৭৮লক্ষ টাকা, ২য় দফা বন্যায় ক্ষতি ১কোটি ৩৮লক্ষ টাকা, ২০১১সালে ক্ষতি ৯৫লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে প্রথম দফায় ক্ষতি ৭৫লক্ষ টাকা, ২য় দফায় ৮কোটি টাকা। ২০১৪ সালে ক্ষতি প্রথম দফায় ৩৩কোটি টাকা, ২য় দফায় ১০কোটি টাকা, ২০১৫ সালে ২কোটি ১৫লক্ষ টাকা, ২০১৬ সালে প্রথম দফায় ৩৫কোটি ৭৬লক্ষ টাকা, ২০১৬সালে ২য় দফায় ক্ষতির পরিমান ৩কোটি ৭১লক্ষ টাকা, সর্বশেষ ২০১৭সালের চলতি মৌসুমে পাহাড়ীঢল ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৫কোটি টাকা এছাড়া প্রবল ঝড় ও ভারী বর্ষনে ৩শ ১৪টি বসতঘর সম্পুর্ন বিদস্থ করেছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১১হাজা ৪শ ৯০টি বসতঘর।

তিনি সাংবদিকদের মাধ্যেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জরুরী ভিত্তিত্বে ১হাজার বান্ডিল ডেউটিন ও পর্যাপ্ত পরিমান সরকারী বরাদ্দ দেওয়ায় জন্য।

Manual5 Ad Code

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন- গোয়াইনঘাট প্রেক্লাবের সভাপতি এম এ মতিন, সাবেক সভাপতি মন্জুর আহমদ, সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো.আলী হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিরিয়া হেলাল, আরিফ ইকবাল নেহাল, মাহবুব আহমদ প্রমূখ।

Manual1 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code