বসন্তে ভালোবাসা

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪

বসন্তে ভালোবাসা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ পহেলা ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। গাছে গাছে নতুন ফুল, নতুন সবুজ কচিপাতা, পাখির সুর, সবমিলিয়ে প্রকৃতির নতুন মুখ। তাই বাসন্তী রঙা বসনে নগরবাসী ঠিকই বরণ করে রঙিন বসন্তকে। ফাল্গুনের প্রথম দিনে হাত ধরাধরি করে আসছে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। এতে উৎসবে এনেছে ভিন্ন আমেজ।

 

বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে প্রাণচঞ্চলতা। বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, ফাল্গুনের প্রথম দিনে ঘরের বাইরে পা দিলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে। মেয়েদের পরনে বাসন্তি শাড়ি, তার সঙ্গে মিলিয়ে হাতভর্তি চুড়ি, কপালে টিপ, আর খোঁপায় হলুদ ফুল।

 

এদিকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব নগরের ফুলের দোকানে রয়েছে বাড়তি আয়োজন। পোষাকেও এসেছে বিন্নতা।

 

তীব্র শীতের কঠিন সময় পার করে প্রকৃতি যখন ডানা মেলে সেই আয়োজনকে বিভিন্ন দেশেই বরণ করা হয়। আমরা রঙিন পোশাকে বসন্তবরণ করি। সাধারণত বাসন্তী, হলুদ, লাল পোশাক পরে এদিন উৎসব আয়োজন হয়।

 

বসন্তের প্রথম আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলের গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয় শুভ কামনা হিসেবে। চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল জাপানের বসন্ত উৎসব। এই সামাজিক যোগাযোগের যুগে বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের বসন্তের রাজ্যে বিচরণের ছবি এখন আমাদের সবারই চেনা।

 

আর এই বাংলায় বসন্ত মানেই পূর্ণতা। ‘দোলে প্রেমের দোলন চাঁপা হৃদয় আকাশে’ যখন তখন এই বসন্ত মানেই প্রাণ চঞ্চলতা। কচিপাতায় আলোর নাচন। আবার বাঙালি জীবনে বসন্ত যেন অধিকার আদায়ের আওয়াজ নিয়ে হাজির হয়।

 

বসন্তের আগমন বার্তা ১৯৫২ সালের সেই ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয় যেদিন ‘পিচঢালা রাজপথে লাল ফুল হয়ে’ ভাষা শহীদেরা নিহত হয়েছিলেন শাসকের গুলিতে। বসন্তেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পথে নেমেছিল। বসন্ত মনে করিয়ে আশির দশকের স্বৈরাচার প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের রক্তের কথা। অনলাইনে কেনার জন্য উপলব্ধ প্রতিটি স্বাদ এবং বাজেটের সাথে মানানসই বিভিন্ন বিকল্প সহ আমাদের ব্রাউজ করুন।

 

আর ভালোবাসা দিবস? সে এক রূপকথার দেশ যেন। বসন্তে মন উতলা হয়, বসন্তে হাহাকার জাগে, প্রেম জাগে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় ভালোবাসা দিবস। প্রচলিত ইতিহাসটি হচ্ছে রোমের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমিক ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খ্রিস্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। সেই থেকেই দিনটির শুরু।

 

এদিকে ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে আজ। বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে আজ বেরিয়ে পড়বেন তরুণীর দল। প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সাজে সাজবেন তারাও।

 

(সুরমামেইল/এফএ)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com