বাংলাদেশ আজো ভেজাল চক্রের বেড়াজালে আটক!

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬

বাংলাদেশ আজো ভেজাল চক্রের বেড়াজালে আটক!

বহু আন্দোলন সংগ্রাম, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামাণ্য নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞারগুনে ১৯৭১ সালে ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সময়, সংবিধানের ১৫নং অনুচ্ছেদে খাদ্যকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশের ভিতরে প্রায় প্রতিদিন আমরা যেসব খাবার কিংবা খাদ্যদ্রব্য খাই, যেমন- মাছ, মাংস, শাক-সবজি, ফলমূল এমনকি বরফেও ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। এসব অবৈধ কাজ আজ নতুন নয়।

গরু মোটা-তাজা করতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গরুর শরীরে প্রয়োগ করছে ‘ষ্টেরয়েড ইঞ্জেকশন।’ এছাড়া শিশু খাদ্য গুড়া দুধের সাথে মেশানো হচ্ছে ফর্মালিন। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ফুড গ্রেড রঙের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর টেক্সটাইল গ্রেড রং।

অর্থনীতির সুত্রে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বাংলাদেশ আজ ভেজাল চক্রের বেড়াজালে আটকে গেছে। ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদী রোগ, বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, গেষ্টিক, এ্যাজমা, লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়া এমন কি ক্যান্সারের মতো মরণঘাতি রোগব্যাধি বাড়ছে আশংকাজনক হারে। এসব ভেজাল খাদ্যখেয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছোট্ট শিশু-কিশোররা। তাদের কিডনি, লিভার পঁচে যাওয়ার মতোও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে প্রশাসনের একশ্রেণীর সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যাক্তিরা দিন-দুপুরে আরামদায়ক কেদারায় বসে জেগে জেগেই ঘুমাচ্ছেন। এব্যাপারে কঠিন আইন রয়েছে, তবে নেই আইনের কোনো বাস্তব প্রয়োগ।

যারা খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশাচ্ছে, তাদের পাঁচ বছরের কারাদন্ড অনধিক ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রেখে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হলেও তা সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে না। কদাচিৎ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হলেও জনমনে আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।

ভেজাল খাদ্য থেকে বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com