সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ হচ্ছে রাশিয়ার সর্বাধুনিক কমব্যাট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ইয়াকোললেভ ইয়াক-১৩০। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে যে ১৬টি ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান কিনছে, তার প্রথম চালান হিসেবে আজ রোববার ভোরেই ছয়টি স্টেট অব দি আর্ট ইয়াক-১৩০ ঢাকায় এসে পেঁৗছার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত হাইটেক কোম্পানি রোসবোরন এক্সপোর্টের (রোস্টেক) মহাপরিচালক সের্গেই শেমেজভ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে প্রথম দফায় ছয়টি ইয়াক-১৩০ হস্তান্তর করা হচ্ছে। বাকি ১০টি ২০১৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশের আকাশ-রণসজ্জায় যুক্ত হলো নতুন মাইলফলক।
আন্তর্জাতিক মাধ্যম থেকে জানা যায়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাইরে আলজেরিয়ার পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান কিনল। এ ছাড়া ইয়াক কেনার জন্য লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফি চুক্তি করলেও তার পতনের পর লিবিয়ার নতুন সরকার চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। ২০১৩ সালের মার্চে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ‘লিমা-২০১৩’তে অংশ নিয়ে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের ২৪টি ইয়াক-১৩০ বিমান কেনার তথ্য প্রথম গণমাধ্যমকে জানান রাশিয়ার রোসবোরন এক্সপার্টের প্রধান ভিক্তর কোমারদিন।
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আকাশসীমায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে রাশিয়া থেকে ২৪টি ইয়াক-১৩০ কেনার পরিকল্পনা হয়। পরে সংখ্যা ২৪ থেকে কমিয়ে ১৬-তে নামিয়ে আনা হয়। এতে সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিটি ইয়াক-১৩০-এর মূল্য পড়ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। অবশ্য এ অর্থের পুরোটাই নামমাত্র সুদে ঋণ দিচ্ছে রাশিয়ার সরকার। বাংলাদেশকে নগদ পরিশোধ করতে হচ্ছে মাত্র ১০ শতাংশ।
সূত্র জানায়, এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ যুদ্ধবিমানের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৬ সালে আকাশে ওড়ার পর কয়েক হাজার উড্ডয়নে মাত্র তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মাত্র একজন পাইলট মারা গেছেন, বাকিরা নিরাপদে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। যুদ্ধবিমানটি বিমানসেনাদের পঞ্চম প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ সুবিধা দিতে সক্ষম। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শত্রু স্থাপনায় আক্রমণ করতেও সক্ষম। দ্বৈত ইঞ্জিন ও ককপিটে দু’জন পাইলট বহনে সক্ষম ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমানটি আকাশে অন্য উড়োজাহাজকে এবং আকাশ থেকে মাটিতে মিসাইল ও বোমা হামলায়ও দক্ষ। এর গতিবেগ ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটার কিংবা তারও বেশি। বিমানটি তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক ও যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে পারে। একবার জ্বলানি নিয়ে দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতেও সক্ষম সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমান।
এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাশিয়ার কাছ থেকে আটটি মিগ-২৯ কেনা হয়েছিল। সূত্র জানায়, বর্তমানে বিমানবাহিনীতে রাশিয়ার তৈরি উন্নতমানের ভিআইপি হেলিকপ্টার মিল মি-১৭ও রয়েছে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, চেক প্রজাতন্ত্রের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান ও পরিবহন হেলিকপ্টারও রয়েছে।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি