বাহুবলে চার শিশুহত্যা: ভতিজা সাহেদ আলীর স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৬

বাহুবলে চার শিশুহত্যা: ভতিজা সাহেদ আলীর স্বীকারোক্তি

1456920942
সুরমা মেইল নিউজ : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যার ঘটনায় কারাগারে আটক আব্দুল আলী বাগালের ভাতিজা গেস্খফতারকৃত সাহেদ আলী এবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাউছার আলমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ মামলার ৭ জন আটকের মধ্যে আব্দুল আলীর দুই ছেলেসহ মোট ৪ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পূর্বের ৩ জনের দেয়া স্বীকারোক্তির আদলেই সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জানিয়েছে চা বাগানের দিকে নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় ওই চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সবকিছুই হয়েছিল তার চাচা আব্দুল আলী বাগালের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে। গ্রামের পঞ্চায়েতে তার নেতৃত্ব টেকাতেই এমন লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে দু’দফায় তাকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নিয়ে হাজির করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র ওসি মোঃ মুকতাদির হোসেন জানান, পূর্ববর্তী ৩ আসামীর দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার কাছ থেকে নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হত্যাকান্ডের মূল হোতা আব্দুল আলী বাগালের ভাতিজা সাহেদ আলীকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে আটক করে র‌্যাব। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানী শেষে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় ২৯ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করে ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারক শুনানী শেষে তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দু’দফায় মোট ৮ দিন রিমান্ড শেষে বুধবার বিকেল সোয়া ৩টায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য তাকে আদালতে আনা হয়। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে শেষ হয় জবানবন্দি গ্রহণ।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু অপহরণ হয়। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের অদূরে একটি খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিল সাহেদ আলী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের মূলহোতা আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মাঝে ইতিমধ্যে আব্দুল আলী বাগালের দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া এবং তার অন্যতম সহযোগি হাবিবুর রহমান আরজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com