সিলেট ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী লীগ।
রোববার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে। এটা আমরাও মনে করি। কিন্তু জাতীয় ঐক্য হবে কার সাথে? যিনি জঙ্গি লালন করছেন, জঙ্গির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, তার সাথে? তার সাথে কীভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? উনি আগে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করুক। অতীত ভুলের জন্য অনুশোচনা করুক। তাহলে উনার সাথে জনগণের ঐক্য হতে পারে। আমাদের ঐক্যও হতে পারে। কারণ, জাতীয় ঐক্য আমরাও চাই।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আজকে খালেদা জিয়া বেশকিছু ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু ওই বক্তব্য শুনে দেশবাসীর সাথে আমরাও অবাক হয়েছি।
কারণ, তিনি বলেছেন কোনো বিবেকবান মানুষ এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে না। তার এই কথাগুলো সুন্দর ও মূল্যবান। কিন্তু এসব কথা বলছেন কে? যিনি এক বছর আগেও সরকারবিরোধী হরতাল-ধর্মঘটের ডাক দিয়ে পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে ২২১ জন মানুষকে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ সেগুলো ভুলে যায়নি। আর এখন উনি এসব বলছেন কীসের আশায়? উনি এখন মনে করেন, মানুষহত্যা কোনো বিবেকবান মানুষের কর্মকাণ্ড নয়। তাহলে তখন উনি মানুষ হত্যা করেছিলেন কিসের ওপর ভিত্তি করে? এটা জাতির কাছে এখনো প্রশ্ন থেকে গেছে।’
বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে হানিফ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস হচ্ছে বেগম জিয়া। আমরা তার সময়ে বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেখেছি। একই দিনে একই সাথে ৬৩ জেলায় ৫০০ বোমা হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসীর উত্থান দেখেছি। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা দেখেছি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এস এম কিবরিয়াসহ আহসানউল্লাহ মাস্টারকেও হত্যা করা হয়েছিল তারই সময়ে।
এ ঘটনাগুলোর ব্যাপারে খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। এমনকি মাদারীপুরে স্কুল শিক্ষককে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্ত্রাসী ফাহিমের পক্ষ্য নিয় আরেকবার প্রমাণ করেছেন, তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পক্ষে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) কথার মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি আছে। উনি কখন কী বলেন, ঠিক নেই। ওনার কথা পরস্পরবিরোধী।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস ও আল কায়েদা বলে কিছু নেই। এদের সাথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বা আল কায়েদার সম্পর্কও নেই। এরা সকলে জামায়াতের বিভিন্ন সংগঠনের নামে সরকারকে বিব্রত এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, আবদুস সাত্তার, এস এম কামাল প্রমুখ।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি