বিএনপির ভাঙন ঠেকাতে শেষমেশ ডা. জোবায়দা

প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০১৬

বিএনপির ভাঙন ঠেকাতে শেষমেশ ডা. জোবায়দা

images-(2)

সুরমা মেইল নিউজ : দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘সাজা’ হতে পারে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় এরকমই অবস্থান বেগম জিয়ার। একই অবস্থা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নেতাকর্মীদের মতে বিএনপিকে রাজনীতিশূন্য করতে চায় সরকার।

এ অবস্থায় দলের হাল ধরবেন কে? ঘুরেফিরে এ প্রশ্নই আসছে। বিকল্প চিন্তায় অবশ্য তারেক রহমানের সহধর্মিণী সিলেটের ডা. জোবায়দা রহমানের নামই আলোচনায় শীর্ষে। কিন্তু বিষয়টি এখনই ভাবতে চান না বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তবে দলের ভাঙন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ রাখতে শেষমেশ জোবায়দা রহমান দলে ফিরলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বলেও দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রতি সপ্তাহে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হচ্ছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক। এরপর রায়। রায়ে ন্যায়বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় জিয়া পরিবারের আইনজীবীরাও। আগামী ২ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা না দিলে বিএনপি-প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। ডান্ডি ডাইয়িং ঋণখেলাপি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৯ জুন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার জন্য আদালতের দ্বারে দ্বারে যেতে হচ্ছে সত্তরোর্ধ্ব সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ‘সাজা’ হলে দল কীভাবে চলবে, এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলবে। দলের স্থায়ী কমিটিসহ নির্বাহী কমিটি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশে আসতে না পারলে পরিস্থিতি বিবেচনায় ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়েও ভাবা হতে পারে। তবে এখনই এ বিষয়ে ভাবনার সময় আসেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, শুধু জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধেই ৭৫টি মামলা ঝুলছে। অবশ্য একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার সংখ্যা পাঁচটি। বাকিগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় করা সহিংসতা, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির পিটিশন মামলা। অন্যদিকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে অন্তত অর্ধশত মামলা। এ ছাড়াও সারা দেশে ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় আসামি রয়েছেন পাঁচ লক্ষাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com