বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবছে কেন?

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৬

বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবছে কেন?

download

সুরমা মেইল নিউজ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে বিএনপি এখন নির্বাচন বর্জনের চেষ্টায় আছে। কেউ যদি ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চায় তাহলে কারো কিছু বলার থাকবে না। সুস্থ্য রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে হলে বিএনপিকে এ ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই দফা ইউপি নির্বাচনে বিএনপির চরম ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এসব কথা বলেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস পালন সফল করার জন্য আয়োজিত এক যৌথ সভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমাদের সাংবাদিক ভাইদের একটা স্বভাব আছে, কিছু হলেই তারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে যায়। আর তখনই তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আমার জানামতে পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এমনটি হয়। আমাদের কোনো রাষ্টদূত কি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলেন, প্রশ্ন করেন হানিফ। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতের কোন সাংবাদিক কি প্রভাবশালী কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে? আমার জানামতে কেউ এটা করে না। কিন্তু আমাদের মধ্যে এ প্রবণতাটা বেশি, কোন কিছু হলেই আমরা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে দৌড়ে চলে যাই। কেন? এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

নির্বাচনের সহিসংতা নিয়ে তিনি বলেন, আজকে গোটা বিশ্বে রাজনৈতিক-সামজিক নানা ধরণের অস্থিরতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত হত্যার ঘটনা ঘটছে, এর মানে কি সেদেশের সরকার ব্যর্থ? আসলে বিভিন্ন স্থানে একাধিক মেম্বার প্রার্থী থাকার কারণে দেখা যায় সামাজিক, গোষ্ঠীগত দ্বন্ধের কারণে কিছু সহিংসতা হচ্ছে। এসব কিভাবে এড়ানো যায় সে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ধরণের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। আমরা এ ধরণের সহিংসতা চাই না। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এখানে প্রতিটি জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জনের অধিকার আছে। সে হিসেবে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কেউই। হঠাৎ করে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবছে কেন? কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমলে দু:শাসনের কারণে জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ২০০৯ সালের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করায় জনগণ তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। উন্নয়নের কারণে বর্তমানে জনগণ আমাদের প্রতি আস্থাশীল। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপেও দেখা গেছে যে ৮০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের সুশাসনের প্রতি আস্থাশীল। ভোটে তো তার প্রতিফলন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। এর আগে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com