বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বের হয়ে যাবে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থাটি কোভিড-১৯ মহামারী ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকটের সময় ভুলভাবে পরিচালিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করতে ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

 

ট্রাম্প বলেছেন, ডব্লিউএইচও ‘সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অসঙ্গত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ’ এড়িয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটি চীনের মতো অন্য বড় দেশগুলো থেকে যে অর্থ পাচ্ছে তার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘পীড়াদায়কভাবে বেশি অর্থ নিচ্ছে।’

 

দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের কিছুক্ষণ পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে করতে ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য (সংস্থা) আমাদের ছিবড়ে ফেলেছে, প্রত্যেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছিবড়ে ফেলছে। এটি আর হতে যাচ্ছে না।’

 

রয়টার্স জানায়, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ১২ মাসের মধ্যে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাবে এবং সংস্থাটিকে দেওয়া সব ধরনের চাঁদা বন্ধ করে দেবে।

 

ডব্লিউএইচওর সামগ্রিক তহবিলের ১৮ শতাংশের যোগান দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত সংস্থাটির সবচেয়ে বড় দাতা। ২০২৪-২৫ সালের জন্য ডব্লিউএইচওর দ্বিবার্ষিক বাজেট ৬৮০ কোটি ডলার।

 

হোয়াইট হাউজের দপ্তরে ডব্লিউএইচওর নথিতে স্বাক্ষরের সময় সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, ‘ওহ, এটি বড় এক পক্ষ।’

 

বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের জানানো অনুরোধে ডব্লিউএইচও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

 

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প। কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়াকালে তার প্রশাসন ২০২০ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই সিদ্ধান্ত উল্টে দেন।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের ডব্লিউএইচও থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এর ফলাফল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তারা বলেছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

 

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে কোভিড-১৯ মোকাবিলার সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করা আশীষ ঝা সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘ডব্লিউএইচও থেকে সরে যাওয়া কেবল বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে না, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব ও বৈজ্ঞানিক দক্ষতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’

 

গ্লোবাল পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স গস্টিন মন্তব্য করেন, ‘এটি একটি বিপর্যয়কর সিদ্ধান্ত।’

 

(সুরমামেইল/এমকে)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com