বিয়ানীবাজারে জামাল হত্যা : এক আসামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৬

বিয়ানীবাজারে জামাল হত্যা : এক আসামীর যাবজ্জীবন

1456039378সুরমা মেইল নিউজ : বিয়ানীবাজারে জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন অপর আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে সিলেট বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভূইঞা এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ফখরুল ইসলাম (২৬)। তিনি বিয়ানীবাজার থানার পূর্ব আলীনগর গ্রামের আব্দুল আলী ওরফে তফইয়ের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তি গোলাপগঞ্জের ঘাগুয়ার আব্দুল খালিকের ছেলে জাকারিয়া (১৮)। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফখরুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বিয়ানীবাজার থানার চন্দরপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলী রাজুমিস্ত্রির ছেলে ঠিকাদার জামাল উদ্দিনের (২৫) বাড়িতে ফখরুল ইসলাম ও জাকারিয়াসহ কয়েকজন যান। তারা জামালকে আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর নির্মানাধীন ব্রিজের কাজে যাওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু জামাল তাদের কাজে যেতে অপারাগতা প্রকাশ করেন।

এক পর্যায়ে আসামীরা তাকে বুঝায়ে কাজে নিয়ে যান। ওইদিন জামাল আর বাড়িতে ফিরেননি। পরে তার পবিবার বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজি কওে তাকে না পেয়ে ১৬ জুলাই জামালের ভাই মারুফ আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন ১৭ জুলাই সকাল ৮ টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সন্ধিসাইল গ্রামের হাওড়ের পানিতে জামাল উদ্দিনের লাশ ভেসে উঠে। স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে জামালের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ সনাক্ত করেন।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মারুফ আহমদ বাদি হয়ে ফখরুল ইসলামসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নম্বর-১৭ (১৭-০৭-০৬)। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘাতকদের গ্রেফতার করলে তারা জামাল হত্যার দায় স্বীকার করে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১০ জুলাই বিয়ানীবাজার থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০০৮ সালের ১২ আগষ্ট থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি ফখরুল ইসলামকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লিখিত দন্ডাদেশ এবং অপর আসামি জাকারিয়ার কোনো দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এ মামলার দায় হতে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী ও আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা এবং স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট সন্তু দাস ও অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com