সিলেট ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৪
বিনোদন ডেস্ক :
টলিউডের ‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন ঢাকার প্রাক্তন এমপি ফেরদৌস। খবরটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কলকাতার প্রযোজক রানা সরকার। কারণ হিসেবে স্পষ্ট করলেন, ফেরদৌস বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না! তাই তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হলো।
এদিকে এমনিতেই বড্ড দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনেকটাই নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। মাঝে খবর এলো, আশ্রয় নিয়েছেন কলকাতায় বন্ধু ঋতুপর্ণার বাড়িতে। কিন্তু সেখান থেকেও ঋতু জানালেন, ফেরদৌস তার আশ্রয়ে নেই।
১৮ আগস্ট ঋতুপর্ণা গণমাধ্যমে বললেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু, কিন্তু এ কথাটা তো একদমই এমন নয় যে সে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছে! আমার মনেও হয় না, সে দেশ থেকে বেরিয়েছে। বের হলে আমরা তো জানতে পারতাম। বিষয়টা তো এমন নয় ফেরদৌস অপরিচিত মুখ। তার মতো মানুষ, দেশ থেকে বের হলে এমনিতে সবাই জানতে পারবে যে দেশ থেকে বেরোচ্ছে। আমার পরিষ্কার কথা, সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, বাংলাদেশের সবাই ভালো থাকুক।’
তবে আপাতত ফেরদৌস কোথায় কিংবা কেমন আছেন, সেটা ছাপিয়ে নজরকাড়া খবর এলো টলিউড থেকে। জানানো হলো, অর্কদীপ মল্লিকা নাথের ‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা থেকে কেটে ফেলা হয়েছে ফেরদৌসের নাম।
এ বিষয়ে সিনেমার প্রযোজক রানা সরকার ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ সিনেমায় আর থাকছেন না ফেরদৌস। সিনেমাটি দুই বাংলার দর্শকদের টার্গেট করে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষত ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে। আমার কোনও সিনেমায় বাংলাদেশের এমন কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে অভিনয় করাবো না, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সে হিসেবেই ফেরদৌসকে আমরা সিনেমাটিতে রাখছি না।’
‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমায় স্বামী–স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌস ও শ্রীলেখা মিত্রের।
গত বছরের শুরুর দিকে অভিনয়শিল্পীদের লুক প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল ‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমার। তবে এখনও শুটিং শুরু হয়নি। ফেরদৌসের কারণেই কি এই বিলম্ব? জবাবে রানা সরকার বলেন, ‘২০২৩ সালেই শুটিং হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসের কারণে নয়, বিভিন্ন কারণে একটু দেরি হচ্ছে। যেহেতু এটার শুটিং হবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায়, তাই সেখানে অনুমতির একটা বিষয় ছিলো।’
এদিকে ফেরদৌসকে বাদ দিয়েই বসে নেই সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে ফেরদৌসের পরিবর্তে বাংলাদেশের জিয়াউল রোশানকে মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন প্রযোজক রানা সরকার।
প্রযোজকের ভাষায়, ‘রোশানের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝামেলা নেই। শুটিং শুরুর আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সে করতে চাইলে অবশ্যই সিনেমায় থাকবে।’
বলা দরকার, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ।
১৯৯৮ সালে বাসু চ্যাটার্জির ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমা দিয়ে তার রাজকীয় অভিষেক হয়। এরপর মাঝের দুই দশক দুই বাঙলায় অসংখ্য সফল সিনেমা করেন তিনি। ‘মিট্টি’ সিনেমা দিয়ে নাম লেখান বলিউডেও। এ বছর ঢালিউডের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’। যা তুমুল ফ্লপ করে।
(সুরমামেইল/এএইচএম)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি