সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটছে জঙ্গিদের। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে এ সতর্কবার্তা দিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন জেগেছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এসব জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করছে। এজন্য তারা নদীপথ এবং আসাম ও ত্রিপুরা সীমান্ত ব্যবহার করছে। পরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে এসব সীমান্ত ব্যবহার করে ১০১৫ সালের চেয়েও বেশি জঙ্গি প্রবেশ করেছে ভারতে। এদের সংখ্যা ২০১৫ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে ৩ গুণ বেশি। অনুপ্রবেশকারী এসব জঙ্গি হরকাতুল জিহাদি আল-ইসলামী (হুজি) ও জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চরমপন্থী সদস্য।
এতে অনুমান করা হচ্ছে ২০১৪ সালের ভারতের খাগড়াগড়ের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জেএমবির যোগসূত্র রয়েছে। ওই হামলায় অন্তত দু’জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকেই ওই তিন রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে জেএমবি ও হুজি। এ সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত অবাধে ব্যবহার করেছে ৭২০ জঙ্গি। একই সময়ে আসাম ও ত্রিপুরা দিয়ে প্রবেশ করেছে সন্দেহভাজন অন্তত ১২৯০ জন।
যদিও এটা নিয়ে পশ্চিবঙ্গের সরকারের সন্দেহ রয়েছে। তবে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৮০০ ও ৬৫৯ জন।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে তথ্য সংগ্রহ করছি। এ সম্পর্কে আসাম পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, আসাম পুলিশের এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এসবি) পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, গত ছয় মাসে তারা অন্তত ৫৪ জন জেএমবি সদস্যকে আটক করেছেন। এ ঘটনা তদন্তে রাজ্যসভার সদস্য ও শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা নিয়মিত সীমান্ত পরিদর্শন ও এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
আসামের পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যে তারা জেনেছেন জেএমবির সেক্রেটারি ইফকাদুর রহমান গত ১২ জানুয়ারি নকল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেছেন। এরপর তিনি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে তার লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি তিনি এরইমধ্যে দিল্লিও ঘুরে এসেছেন।
অপরদিকে, রাজ্যগুলোর শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়েছে, খাগড়াগড় হামলার পর জঙ্গিরা তাদের কৌশল বদলেছে। এতে তাদের শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া আগে জঙ্গিরা মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার মতো জেলা দিয়ে প্রবেশ করলেও এখন ব্যবহার করছে আসাম ও ত্রিপুরা সীমান্ত। এরপর পশ্চিমবঙ্গে চলে যাচ্ছে।
এ পথ জঙ্গিদের জন্য সহজ বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, জঙ্গিরা সীমান্তের নদীপথ ব্যবহার করে, কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের রাতে জেগে থাকাটা কঠিন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফয়েজ আহমদ দৌলত
উপদেষ্টাঃ খালেদুল ইসলাম কোহিনূর
উপদেষ্টাঃ মোঃ মিটু মিয়া
উপদেষ্টাঃ অর্জুন ঘোষ
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি