সিলেট ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের গুলশান থেকে ফ্রান্সের নিস – সাম্প্রতিক এই জঙ্গি হামলাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। দুটি হামলার পরই জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স দাবি করে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আইএস মনোভাবাপন্নরা যে সব দেশেই রয়েছে, তা জানান দিতে ওই হামলা চালানো হয়।
ভারতও নিরাপদ নয়। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ভারতেও ক্রমশ শেকড় ছড়াচ্ছে আইএস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে আইএস-এর ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ছে।
ভারতের গোয়েন্দাদের মতে, ভারত থেকে যেসব যুবক সিরিয়া-ইরাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গেছেন, তাদের ওপরই দেশটিতে হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দারাও ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি নিয়ে আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকে রাজনাথ বলেন, ‘আইএস-এর সন্ত্রাস প্রতিবেশী দেশের মাটিতে পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।’ গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের ওপর জোর দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ হামলায় গত ছয় মাসে ইরাকে ও সিরিয়ায় ক্রমশ দুর্বল হয়েছে আইএস। তাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নাশকতার কৌশল পাল্টাতে শুরু করেছে জঙ্গিরা।
ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বহুজাতিক সংস্থা যেমন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলে, আইএস প্রায় সেভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে। আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা।
রাজনাথ এ সম্পর্কে বলেন, ‘ছোট সংগঠনগুলিকে প্রভাবিত করে তাদের মাধ্যমে নাশকতা চালানো শুরু হয়েছে। কী ভাবে, কোথায় আক্রমণ করতে হবে তা জানানোর পাশাপাশি হামলার জন্য অর্থ এবং অস্ত্রশস্ত্রও জোগাচ্ছে আইএস।’ কখন, কী ভাবে, হামলা চালালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে, স্থানীয়রা তা ভালো জানে বলেই তাদের হাতে দায়িত্ব দিচ্ছে আইএস। তারপর হামলার পরে সেই নাশকতার দায় নিচ্ছে তারা। যেমনটি হয়েছে গুলশান বা নিসের ক্ষেত্রে।
এই অবস্থায় আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী হয়ে কথিত ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও চিন্তায় রেখেছে ভারতের কেন্দ্র সরকারকে। এর মধ্যেই দেখা গেছে মহারাষ্ট্রসহ দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে আইএস-এর প্রভাব সব থেকে বেশি। সম্প্রতি হায়দ্রাবাদে আইএস-এর ‘গঠন প্রক্রিয়া’ ধরা পড়েছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয় দুইজন। তাদের কাজ ছিল, ভারতে নাশকতা চালানো।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি