ভুল চিকিৎসা: সিলেটে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬

ভুল চিকিৎসা: সিলেটে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি

index
সুরমা মেইল নিউজ : সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের (সিওমেক) সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান ও জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবেদ হুসাইন। ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগে সিলেটে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। রোববার সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ মার্চ চিকিৎসকদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগে সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে দরখাস্ত মামলা (সিআর নং-৯৯৮/১৪) দায়ের করেন নগরীর দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে আব্দুর রউফ। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের (সিওমেক) সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান ও জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবেদ হুসাইনকে। মামলার এজাহারে আব্দুর রউফ উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৮ জুন পেটের ব্যাথা নিয়ে ডা. মোঃ ঈসমাইল পাটোয়ারীর শরণাপন্ন হন। ডা. ঈসমাইলের পরামর্শে ১০ জুন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ‘হিস্ট্রোপলজি’ পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ আবেদ হুসাইন ‘কোলন-এডিনোকার্সিনমা’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ডা. রফিকুস সালেহীন রিপোর্ট দেখে অপারেশনের কথা বলেন। অসচ্ছলতার কারণে রউফ সিওমেক’র সার্জারি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডি. এ হাসানের কাছে গেলে তিনি রিপোর্ট দেখে সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা হয়না জানিয়ে ক্লিনিকে ভর্তির পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী ২০ জুন নগরীর মধুশহীদ আরোগ্য পলি ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরীক্ষা ছাড়াই ২৪ জুন ডা. ডি এ হাসান আব্দুর রউফের পেটে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারকালে ডা. ডি এ হাসান রোগীর পেটে কোনো ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ বা টিউমার মেলেনি বলে স্বজনদের জানান। পরে ডা. ডি এ হাসান প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবেদ হুসাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ না পেয়ে অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই রোগীর পেটের একটি রগ (অ্যাপেনডিক্স) কেটে ফেলেন। কেটে ফেলা অংশ ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে সেখানেও পরীক্ষা করেন প্রফেসর ডা. আবেদ হুসাইন। রিপোর্টে তিনি ক্যান্সারের লক্ষণ নেই বলে উল্লেখ করেন। অথচ একই চিকিৎসক এর আগে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেন রোগীর ক্যান্সার হয়েছে। ভুল চিকিৎসা ও ভুল রিপোর্টের কারণে আদালতে তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন আব্দুর রউফ। এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী ওবায়দুর রহমান বলেন, ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে আদালত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তাদেরকে এক মাসের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com