সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের দুদিন পার হয়েছে, এখনো চলছে ভোট গণনা। এর মধ্যেই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মোট ১৪টি মামলায় জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত (এটিসি)। ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ইসলামাবাদ এটিসির বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ গত বছরের ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলার শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, ১৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন ইমরান, সেগুলোর মধ্যে ১২টি ৯ মে দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত; বাকি ২টির মধ্যে একটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তর এবং সামরিক জাদুঘরে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আর দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত ১৩ মামলায় জামিন পেয়েছেন শাহ মেহমুদ কুরেশি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৯ মে একাধিক মামলায় হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যান ইমরান খান। সে সময় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আধা-সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
ইমরানের গ্রেপ্তারের পরপরই দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এরপরই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এমনকি সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়। দুইব্যাপী এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও ২৯০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ইসলামাবাদের জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি আদিয়ালা জেলে বন্দি।
তবে গত মাসে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সপ্তাহে তৃতীয় রায় হিসেবে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে অনৈসলামিক বিবাহের অভিযোগে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে রাওয়াল পিন্ডির একটি আদালত।
২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাস, সহিংসতা, ব্লাসফেমি, দুর্নীতি এবং হত্যার মতো ১৪০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন ইমরান খান।
(সুরমামেইলে/এমকেএইচ)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি