মাতৃত্বজনিত দাগ দূরে রাখবেন কিভাবে?

প্রকাশিত: ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৬

মাতৃত্বজনিত দাগ দূরে রাখবেন কিভাবে?

bodyস্বাস্থ্য ডেস্ক : গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্যে আসে নানা রকম পরিবর্তন। এসব পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম হল মাতৃত্বজনিত দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক। পেটের চামড়ার ওপর ফেটে এই দাগগুলো প্রায় আধা ইঞ্চি চওড়া এবং পাঁচ থেকে সাত ইঞ্চি লম্বা হতে পারে।

বেশিরভাগ নারীর মাতৃত্বজনিত দাগ থাকে পুরো তলপেট জুড়ে। শরীরের জন্য কোনোপ্রকার ক্ষতি না করলেও দাগের কারণে দেখতে খারাপ লাগে।

সন্তান ধারণের ফলে ত্বকে এই দাগ তৈরি হয়। পেট, থাই, বুক, শরীরের যে অংশে বেশি ফ্যাট থাকে সেখানেও স্ট্রেচ মার্ক বা মাতৃত্বজনিত দাগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে।

সাধারণত গর্ভধারণের বিশ সপ্তাহের মাথায় এই দাগ শুরু হতে থাকে। এসময় মায়ের ওজন প্রায় ৯ থেকে ১২ কেজি বেড়ে যায়। এরপর প্রতি সপ্তাহে আধা কেজি করে ওজন বাড়তে থাকে।

হঠাৎ করে এতো ওজন বাড়তে থাকার ফলে ত্বক ফেটে যায়। এটা সব গর্ভবতী নারীরই হতে পারে।

যদিও অনেকে মনে করেন ওজন কম হলে মাতৃত্বজনিত দাগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ গর্ভধারণের সময়ও তাদের শরীর খুব বেশি মোটা হয় না। কিন্তু এই ধারণা ভুল।

গর্ভধারণের সময় অপেক্ষাকৃত কম ওজনের নারীদেরও ত্বক আর টিস্যু ভিতর থেকে ফেটে যায়। পরে অনেকের ক্ষেত্রে ঠিক হয়ে যায় আবার অনেকের ক্ষেত্রে দাগ থেকে যায়।

কয়েকটি সঠিক নিয়ম মেনে চললে অনায়াসে এই দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটা আপনার সন্তান জন্মদানের মতোই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এসময় বিশেষভাবে পেটের ত্বকের যতœ নিলে মাতৃত্বজনিত দাগ থাকে না। এতে মানসিক শান্তিও লাভ করা যায়। তাই-

– গর্ভধারণের সময় ত্বক যতটা সম্ভব আদ্র রাখতে হবে।

– ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন-মাছ, পালং শাক, বাদাম ইত্যাদি।

– ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে বেশি করে। টমেটো খাবেন অবশ্যই। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে। ত্বক আর টিস্যু খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।

– প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

– দিনে অন্তত দু’বার নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক ফেটে দাগ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com