সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এটার নামও এটিএম, তবে এখানে টাকা পাওয়া যায় না। এই বিশেষ এটিএমের পুরো নাম ‘আমুধম থাইপ্পল মাইয়াম’। তামিল ভাষায় যার অর্থ মাতৃদুগ্ধের কেন্দ্র। ভারতের একটি হাসপাতালে মাতৃদুগ্ধের ‘এটিএম’ চালু হয়েছে সম্প্রতি। সুস্থ দাতা মায়েদের কাছ থেকে যোগাড় করা দুধ এই এটিএমের মাধ্যমে বিলি করা হচ্ছে।
পুদুচেরির প্রখ্যাত ‘জিপমার’ হাসপাতালে কম ওজন বা অপুষ্ট যেসব শিশু জন্ম নেয়, তাদের অতি প্রয়োজনীয় মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্যই এই প্রচেষ্টা শুরু করেছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
‘জিপমার’- এর অধিকর্তা সুভাষ চন্দ্র পারিজা বলছেন, প্রতিমাসে প্রায় ১৫০০ শিশু জন্মায় হাসপাতালে।এদের মধ্যে প্রায় ৩০% ই কম ওজন নিয়ে জন্মায়। অনেকক্ষেত্রেই মায়েদের শারীরিক সমস্যার কারণে ওই অসুস্থ নবজাতকদের মাতৃদুগ্ধ দিতে পারেন না। অথচ মাতৃদুগ্ধ ওই নবজাতকদের অত্যন্ত প্রয়োজন।
‘জিপমার’এর এই এটিএম-এ স্বেচ্ছায় যেকোনো মা-ই বাড়তি দুগ্ধ দান করতে পারেন। তবে দাতা মায়ের এইডস, হেপাটাইটিস প্রভৃতি মারণ রোগ আছে কী না, সেটা ভালো করে যাচাই করে নেয়া হয়। সংগৃহীত মাতৃদুগ্ধ প্যাসচুরাইজ করে রেখে দেয়া হচ্ছে।
তবে কলকাতার শিশুরোগ ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা বিবিসিকে বলছিলেন, মাতৃদুগ্ধ প্যাসচুরাইজ করার প্রয়োজন হয় না। পরিষ্কার বোতলে সাধারন তাপমাত্রায় ৪ থেকে ৬ ঘন্টা তো রাখাই যায়। তবে ফ্রিজে রাখলে সেটা ২৪ ঘন্টা থেকে ৪ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। কী ধরনের ফ্রিজে রাখছেন, তার ওপরে নির্ভর করবে কতদিন তাজা থাকবে দুধ। কিন্তু একবার ফ্রিজ থেকে বার করে নিলে সেটা কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলতে হবে। বিভিন্ন দেশেই কর্মরত মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধ ব্যাঙ্ক রয়েছে।-বিবিসি
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি