মৌলভীবাজারে ঘরের মেঝে স্ত্রী ও বাড়ির রাস্তা থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫

মৌলভীবাজারে ঘরের মেঝে স্ত্রী ও বাড়ির রাস্তা থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে রহস্যজনকভাবে স্বামী-স্ত্রী মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে স্ত্রী সারি বুনার্জীর মরদেহ বসত ঘরের মেঝেতে ও স্বামী দীলিপ বুনার্জীর মরদেহ ঘরের সামনের রাস্তায় পড়ে ছিল।

 

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে এলবিনটিলা ফাঁড়ি বাগানে ১২ নম্বর লাইন থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।

 

মৃতরা হলেন- দিলীপ বুনারজি (৪৭) ও তার স্ত্রী সারি বুনারজি (৩৮)। তারা সারি বাগানের স্থায়ী শ্রমিক ছিলেন। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে ঢাকায় একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। মেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে একই বাগানে দাদার বাড়িতে থাকে। ছোট ছেলে লিটন বুনারজি (৮) মা-বাবার সঙ্গে থাকত।

 

এলবিনটিলা ফাঁড়ি বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হরগোবিন্দ গোস্বামী বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজন আট বছরের শিশু সন্তান লিটনকে নিয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে অন্যদিনের মতো খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে শিশু লিটনের ঘুম ভাঙলে দেখতে পায়, তার মা বসত ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। অনেক ডাকাডাকির পরও তার ময়ের কোনো সাড়াশব্দ পায় না। এরপর বাবাকে খুঁজতে গিয়ে তাঁকে বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। তাঁকেও ডেকে কোনো সাড়া পায়নি। এরপর সে (লিটন) দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশীদের ঘটনাটি জানায়।

 

শিশু লিটনের দেওয়া ভাষ্যের বরাত দিয়ে হরগোবিন্দ গোস্বামী বলেন, মা-বাবার মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাঁটি হতে সে দেখেনি। শুক্রবার রাতে সবাই মিলে খাবার খেয়ে খাটে ঘুমিয়ে পড়ে।

 

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, দিলীপ বুনারজি ও তাঁর স্ত্রী সারি বুনারজি বিষপানে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তাদের দুজনের মুখ থেকে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া তাঁদের বসতঘরের সামনে বিষের একটি খালি বোতলও পড়ে থাকতে দেখা যায়।

 

তবে, প্রকৃত ঘটনা জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

(সুরমামেইল/এমবিএন)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com