সিলেট ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শিশু ফরহাদ হত্যা মামলায় ছয়জনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহিরুল কবীর সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে খুশী নিহত ফরহাদের পরিবার। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- মুক্তাগাছা উপজেলার ১০নং খেরুয়াজানি ইউনিয়নের খেরুয়াজানি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫০), তার ছেলে সাহেব আলী (৩০), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম (৫০) ও তার ছেলে মো. জুয়েল (২০), মৃত গওহর শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ মধু (৫৫) এবং মৃত কসিম উদ্দিনের ছেলে মোন্তাজ আলী (৬০)।
এ ছাড়া ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী কমলা খাতুনকে (৪০) যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয।
রায়ের বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত ও এলাকায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের খেরুয়াজানি গ্রামের আইয়ুব আলীর সঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস ও অপর আসামিদের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে ২০১০ সালের ৭ মে আসামি আব্দুল কুদ্দুস ও সঙ্গীয়রা তাদের লিচু বাগানে আইয়ুব আলীর শিশুপুত্র ফরহাদকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে পাশের একটি কলা বাগানের কলা পাকানোর গর্তে ফেলে রাখে। সেখানে ফরহাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে শিশুটির দুই হাত-পা কেটে বস্তাবন্দি করে পাশের একটি পুকুরে গুম করে রাখা হয়।
অনেক খোঁজাখুজির দু’দিন পর পরিবারের লোকজন শিশু ফরহাদের খণ্ডিত ও গলিত মরদেহ ওই গর্ত থেকে উদ্ধার করে। পরে ফরহাদের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ২০১০ সালের ৯ মে মুক্তাগাছা থানায় ১২/১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহিরুল ইসলাম কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর আইয়ুব আলী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, অবশেষে বিচার পাওয়ায় তিনি ও তার পরিবার খুব খুশী।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি