যেভাবে এলো সাপ-লুডু খেলা

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

যেভাবে এলো সাপ-লুডু খেলা

অনলাইন ডেস্ক :
ত্রয়োদশ শতকে শিশুদের খেলার মাধ্যমে ধার্মিক ও নৈতিক শিক্ষার জন্য ‘মোক্ষ পতম’ নামক একটি খেলা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা ভারতীয় এই খেলাকেই পরিবর্তিত করে ‘সাপ-সিঁড়ির লুডো’ তৈরি করে। বর্তমানে যাকে আমরা ‘সাপ-লুডু’ও বলে থাকি।

 

মূল খেলা যেটা ১০০টা ঘরের ছিল তাতে ১২তম ঘর ছিল ‘আস্থা’ , ৫১তম ঘর ছিল ‘নির্ভরযোগ্যতা’, ৫৭তম ঘর ছিল ‘উদারতা’, ৭৬তম ঘর ছিল ‘জ্ঞান’ এবং ৭৮তম ঘর ছিল ‘তপশ্চর্যা’ (তপস্যা)। এই ঘরগুলোতেই সিঁড়ি পাওয়া যেত যা দ্রুত উপরের ঘরে নিয়ে যেত। জীবনে সাফল্যের সোপানের রূপক বলা যেতে পারে।

 

অন্যদিকে, ৪১তম ঘর ছিল ‘অবাধ্যতা’, ৪৪তম ঘর ছিল ‘অহংকার’, ৪৯তম ঘর ছিল ‘অশ্লীলতা’ বা ‘অভদ্রতা’, ৫২তম ঘর ছিল ‘চৌর্যবৃত্তি’, ৫৮তম ঘর ছিল ‘মিথ্যাচার’, ৬২তম ঘর ছিল ‘নেশাগ্রস্ততা’, ৬৯তম ঘর ছিল ‘ঋণ’, ৭৩তম ঘর ছিল ‘হত্যা’, ৮৪তম ঘর ছিল ‘ক্রোধ’, ৯২তম ঘর ছিল ‘লোভ’, ৯৫তম ঘর ছিল ‘গর্ব’ এবং ৯৯তম ঘর ছিল ‘মোহ’। এই ঘরগুলোতে সাপেরা মুখ খুলে থাকত। এই ভুলগুলোতে পা ফেললে জীবনে পতন অনিবার্য।

 

১০০তম ঘর ছিল ‘নির্বাণ’ বা ‘মোক্ষে’র। প্রতিটা সিঁড়ির মাথায় একজন দেবতা বা কৈলাস, বৈকুণ্ঠ বা ব্রহ্মলোকের ছবি থাকত। খেলার মাধ্যমেই শিশুদের মধ্যে সৎগুণের বিকাশ ও অসৎগুণ বর্জন করার উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন জ্ঞানদেব। লেখা : সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।

 

(সুরমামেইল/এফএ)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com