সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ির ছুড়ে শাশুড়ির দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে ৫দিন পর অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ তহমিনা বেগম। সোমবার সকালে রংপুর থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মিঠাপুকুরের কাছে মারা যান তিনি। এর আগে গত শুক্রবার সকালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, রংপুর মেডিকেলে ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তহমিনাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। সোমবার ভোরে রংপুর থেকে ঢাকা নেয়ার সময় মিঠাপুকুরে পৌঁছালে গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তহমিনা। এ সময় মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের দাদোন গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে তহমিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তারই শাশুড়ি আলেমা বেগম। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে প্রথমে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শুক্রবার সকালে রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান তহমিনা। পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি