রাতে স্মার্টফোন? সাবধান অন্ধ হয়ে যাবেন!

প্রকাশিত: ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৬

রাতে স্মার্টফোন? সাবধান অন্ধ হয়ে যাবেন!

download (3)সুরমা মেইল ডেস্ক : রাতের বেলা অফিস থেকে ফিরে খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েছেন। শরীর ক্লান্ত। সারাদিনে কাজের চাপটা বেশ ভালোই গেছে। ঘুমাব ঘুমাব করেও যেন মনে হলো, স্মার্টফোনটা ডাকছে। সকাল থেকে মেসেজ, নোটিফিকেশনগুলো দেখাই হয়নি। লাইট নিভিয়ে, ফোন হাতে নিয়ে, বালিশের একপাশে শুয়ে শুরু হলো ফোন ঘাঁটা। এই করেই অনেকটা রাত কেটে গেল। তবে, এর পরিণাম কী হতে পারে যদি জানতেন, তাহলে আর ভুলেও রাতের অন্ধকারে এক চোখ খোলা রেখে মোবাইলটি ঘাঁটতেন না। সম্প্রতি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনে রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রায় অন্ধত্ব এসে গিয়েছিল দুই মহিলার। এই রোগের নাম ট্রানজিয়েন্ট স্মার্টফোন ব্লাইন্ডনেস। হঠাৎ করে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। সমস্যাটা স্থায়ী ছিল প্রায় একমাস। হঠাৎ করেই নাকি চোখে সমস্যা শুরু হত। অনেক চিকিৎসকও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। ব্রেন স্ক্যান থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু, কিছুই ধরা পড়েনি। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ধারণা করেছিলেন এটা স্ট্রোকের লক্ষণ। অনেকের আবার ধারণা ছিল, নার্ভের সমস্যার জন্যই এটা হচ্ছে। কিন্তু, পরীক্ষায় কিছুই মেলেনি। এরপর তাঁরা যান লন্ডনের খ্যাতনামা চক্ষু চিকিৎসক ড. গর্ডনের কাছে। গর্ডন জানিয়েছেন, ”প্রথম পরীক্ষার পরই আমি ওই দুই মহিলাকে প্রশ্ন করি, ঠিক কখন এই সমস্যা শুরু হয়? দুজনই বলেন, রাতেরবেলা স্মার্টফোন ঘাঁটার সময় থেকেই এই সমস্যার শুরু হয়। দুজনই এক পাশে ঘুরে শুয়ে স্মার্টফোন ঘাঁটেন। ফলে তাঁদের একটি চোখ ঢাকা থাকে। একটি চোখে মোবাইলের স্ক্রিনটি তাঁরা দেখেন। সমস্যার সূত্রপাত হয় এখানেই। একটি চোখে লাইট পড়ে, আর একটি চোখ পুরোপুরি অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে। ফলে ফোন যখন বন্ধ করা হয় তখন যে চোখে লাইট পড়ে সেই চোখে দেখতে এমনিতেই সমস্যায় পড়তে হয়। অব্যবহৃত চোখটি যতটা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে, অন্য চোখটি ততটা এগোতে পারে না। ফলে সাময়িক অন্ধত্বের সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু, তা অস্থায়ী। যদিও এই সমস্যা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com