সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গুম-খুনে জড়িত র্যাব-পুলিশ সদস্যদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না। দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে এলে সব গুম-খুন ও গুপ্তহত্যার বিচার করা হবে।
সরকারবিরোধী দুই দফা আন্দোলনের সময় হতাহত এবং গুম হওয়াদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতা সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাসহ গুম-খুন হওয়া ৩৮ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিমান বন্দর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন আহমেদ, বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক পারভেজ হোসেনের শিশু কন্যা হৃদি, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা চঞ্চলের ছেলে আহাদ তাদের স্বজনের সন্ধান না পাওয়ার বেদনা তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার কাছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমাদের দলের অনেককে গুম-খুন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, র্যাব ও পুলিশের যারা এই গুম-খুনের অন্যায় কাজগুলো করেছে, তাদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না, তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই হবে।
ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, সন্তান হারানোর ব্যথা কী আমি নিজেও বুঝি। আপনারা দেখেছেন আমি আমার সন্তানকেও হারিয়েছি। তার ওপরে যদি দেখেন যে ক্রসফায়ার হয়েছে সেটা আরো দুঃখজনক। একটা নিরীহ ছেলেকে কথা নেই, বার্তা নেই গুলি করে মেরে ফেলবে-এটা মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ, এরা জালেম। এরা খুনি। এরা গুপ্তহত্যাকারী। ইনশাল্লাহ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসলে আমরা অবশ্যই এদের খোঁজ করার চেষ্টা করব। না হলে এদের সঙ্গে যারা খারাপি করেছে, এই র্যাব ও পুলিশের যারা এই অন্যায় কাজগুলো করেছে তাদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিবাদ দমনের বিশেষ অভিযানে আটক ১৬ হাজারের মধ্যে চার হাজারই বিএনপির নেতাকর্মী। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের টার্গেট হলো বিএনপি, বিএনপিকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়। ভেবেছিল ২০১৪ সালে ইলেকশন করে আবার বিজয়ের বেশে আসবে। কিন্তু ২০১৩ সালে যদি বিএনপির এসব নেতৃবৃন্দকে গুম করা যায় বা খুন করা যায় তাহলে হয়তো ভাবছে বিএনপির কাজ করার লোক থাকবে না। কিন্তু তার প্রতিদানে দেশের মানুষ কী দিয়েছে? ২০১৪ সালে তাদেরকে ভোট পর্যন্ত দিতে যায় নাই। এটাই তাদের প্রতিবাদ। মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার ব্জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি