সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কার্টের ঝুল বেশি হওয়ায় এক নও মুসলিম ছাত্রীকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এক শহরতলীতে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।
এ সম্পর্কে মোন্টেরিও ফল্ট ইউনে নামের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেছেন, ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর স্কার্টের ঝুল প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লম্বা ছিল। এটি তার ধর্মীয় পরিচয় বহন করছিল। আমাদের স্কুলে ধর্মীয় পোশাক পরা নিষিদ্ধ।
ফ্রান্সের প্রদেশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করে ২০০৪ সালে একটি আইন পাস করা হয়েছে। ওই আইনের আওতায় কে ডি সুসা নামের ওই বালিকাকে লং স্কার্ট পরার অপরাধে ওইদিন বের করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সুসার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা তদন্ত করে দেখছেন, সুসা কি এমনিতেই ওই পোশাক পরেছিল? নাকি ইসলামিক রীতি মেনে চলতে লম্বা ঝুলওয়ালা স্কার্ট বেছে নিয়েছিল?
মজার কথা হচ্ছে, ফ্রান্সের প্রচলিত আইনে স্কুলগুলোতে ফ্যাশন হিসেবে লং স্কার্ট পরায় কোনো বাধা নেই। কিন্তু কোনো মুসলিম নারী পর্দা করার জন্য লম্বা পোশাক পরতে পারবেন না। কেননা সেখানে ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ। ফলে দেশটিতে মাথায় হিজাব বা স্কার্ফ পরাও নিষিদ্ধ। এ কারণেই ঘটনার দিন সুসা স্কুলের গেটের বাইরে থাকতেই তার মাথার স্কার্ফটি খুলে ফেলেছিল।
এই সেই স্কুল
পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত সুসার বাবা-মা খ্রিস্টান হলেও সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এতে আপত্তি চানায়নি তার পরিবার। এ সম্পর্কে তার মা ম্যারি ক্রিশ্চান ডি সুসা এক ফরাসি ম্যাগাজিনকে বলেছেন, আমার মেয়ে আইন বিরোধী কোনো কাজ করেনি। এর আগে তার পোশাক আশাক নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি স্কুল কর্তপক্ষ। তবে সে মুসলিম এবং আমি তার ধর্মকে সম্মান করি।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি