সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি্ন’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক।’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই ধ্বনিতে আজ মুখর হবে আরাফাতের ময়দান।
সৌদি আরবে আজ ৯ জিলহজ পবিত্র হজ। ‘হজ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা করা’। ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের একটি হচ্ছে হজ। হজের সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিকতা আজ। মুসলি্লরা আজ সারাদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। তালবিয়া পাঠ করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ হাজি আজ মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের প্রধান মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
যারা হজে এসে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য আনা হবে। পবিত্র হজ পালন করতে এর আগে সারা বিশ্বের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কেউ গাড়িতে বা হেঁটে মিনায় পেঁৗছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশের ২০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবার হজ পালন করছেন। বাংলাদেশ থেকে এসেছেন এক লাখের বেশি হাজি।
আরাফাতের ময়দানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে আজ সারাদিন হাজিরা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকবেন। সাদা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় লাখ লাখ হাজির পদচারণায় আরাফাতের ময়দান পরিণত হবে এক শুভ্রতার সমুদ্রে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মক্কায় অবস্থানকারী ২০ লক্ষাধিক মুসলি্লর অনেকে সোমবার রাতেই মিনার পথে রওনা হন। এ জন্য মিনার পথে প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম ছিল।
মঙ্গলবার মিনায় অবস্থান করেন তারা। আজ বুধবার ফজরের নামাজ পড়ে তারা রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। হজের খুতবা শোনা, এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসলি্লরা। সন্ধ্যায় তারা মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন।
মুজদালিফায় পেঁৗছে আবারও এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। সেখান থেকে জামারায় (প্রতীকী শয়তান) নিক্ষেপের জন্য কঙ্কর (ছোট পাথর) সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন তারা। ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য রওনা দেবেন হজযাত্রীরা। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার আগে জামারাতুল আকাবায় (বড় শয়তান) ৭টি পাথর নিক্ষেপ করা হবে।
জামারাতুল আকাবায় পাথর নিক্ষেপের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তারা পশু কোরবানি করবেন। এরপর মাথা মুণ্ডন করে এহরাম খুলে অন্য পোশাক পরবেন। একে তাহালুলে আসগর বলা হয়। তারপর তাওয়াফে ইফাদা (কাবাঘর তাওয়াফ) এবং সায়ি (সাফা-মারওয়ায় সাত চক্কর) শেষ করে ফের মিনায় ফিরে যাবেন। ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে সূর্য হেলে পড়ার পর প্রতিদিন ছোট, মধ্য ও বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন হাজিরা। যারা ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করতে পারবেন না, তারা ১৩ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করবেন এবং জামারায় ১১ ও ১২ তারিখের মতো পাথর নিক্ষেপ করবেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি