সিলেট ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের লাহোর শহরের গুলশান ই ইকবাল পার্কে রোববার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯য়ে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরো আড়াইশ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একে আত্মঘাতী হামলা হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছে পাক পুলিশ।
স্থানীয় ডন পত্রিকা জানিয়েছে, তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান জামাতুল আহরার নামের এক জঙ্গি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইকবাল টাউনের পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ইকবাল রোববারের ওই বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীর ছিন্ন মস্তক ও বল বেয়ারিং উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
রোববার লাহোর শহরের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আবাসিক এলাকা ইকবাল টাউনের গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে শিশুদের দোলনার কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। ঐ দিন বিকেলে সেখানে অনেকগুলো পরিবার বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভিড় জমিয়েছিল। এটি লাহোরের একটি নতুন আবাসিক এলাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা আরো জানাচ্ছে, হামলার পর পার্কটিতে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ঘটনাস্থল ভেসে যায় হতাহতদের রক্তে। এখানে সেখানে পড়ে ছিল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ। নারী ও শিশুদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার বাতাশ। বিস্ফোরণের পর সেখানে পালাতে থাকা লোকের হুড়োহুড়িতে এক চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পালাতে গিয়ে অনেক শিশুই তাদের পিতামাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হামলার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই রিক্সা ও ট্যাক্সিতে করে আহতদের হাসপতালে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
অনেকের ধারণা, ইস্টার সানডে উপলক্ষে পার্কে ভিড় জমানো খ্রীষ্টান পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করেই রোববার ওই হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এদিকে ওই বিস্ফোরণের পর রোববার রাতে উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরিফ।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি