লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিত ও পুলিশ সদস্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে জামায়াতের সভা

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫

লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিত ও পুলিশ সদস্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে জামায়াতের সভা

কানাইঘাট প্রতিনিধি :
সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের অন্যান্য পাথর কোয়ারীর মতো কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিত করায় এবং কোয়ারী এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় থানার এক কনস্টেবলকে হেনস্থার ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে জামায়াতে ইসলামী কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় স্থানীয় মুলাগুল কান্দলা নয়াবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।



লোভাছড়া বালু পাথর উত্তোলন ও বহনকারী শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় ইউপি জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফিজ মাও. আহমদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আলমের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী কানাইঘাট উপজেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য ও লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি জামায়াতে ইসলামীর আমীর ক্বারী মাও. মাহবুবুর রহমান, জামায়াত নেতা হাফিজ মাও. আফতাব উদ্দিন, মোঃ শহিদুল্লাহ কাউছার চৌধুরী, মোঃ কামরুল আলম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

 

প্রতিবাদ সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, কানাইঘাটের হাজার হাজার শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থান লোভাছড়া পাথর কোয়ারী বর্তমান অর্ন্তবর্তী কালীন সরকার খুলে দিবে এমন আশায় ছিলেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু গত রবিবার সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোয়ারী বেষ্টিত সিলেট অঞ্চলের অন্যান্য কোয়ারীর মতো কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারা প্রদান বাতিল করায় মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সরকারি প্রক্রিয়া বাতিল করে অবিলম্বে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারা প্রদান করে সরকারি কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সহ এ অঞ্চলের লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের পথ সুগম করে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোয়ারী ইজারা দেয়ার দাবী জানানো হয় প্রতিবাদ সভা থেকে। তা না হলে জামায়াতে ইসলামী সহ শ্রমিক সংগঠনগুলো কানাইঘাটে বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ার উচ্চারন করা হয়। সেই সাথে প্রতিবাদ সভায় কোয়ারী এলাকার চিন্তারবাজারে গত শনিবার চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল নারায়ন চন্দ্র দাসকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে যেভাবে শারীরিক ভাবে হেনস্থা এবং পুলিশ সদস্যকে কোয়ারী এলাকা তুলে নেয়ার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

 

সেই সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, কোয়ারী এলাকার স্থানীয় কোন লোকজন পুলিশ সদস্যকে হেনস্থা করেননি, এ নিয়ে নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দাও করেন তারা।

 

(সুরমামেইল/এমআর)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com