সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ। গতকাল সোমবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটেছে বাঙালির শারদোৎসবের। এদিন দুর্গতিনাশিনী দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসব সার্বজনীন রূপ নিয়েছে।
পাঁচদিনের দুর্গোৎসবের প্রথম দিনে গতকাল মহাষষ্ঠী তিথিতে ম পে ম পে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ছিল ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। এ সময় বেলতলায় দেওয়া হয় ষষ্ঠীপূজা। সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিশেষ আলোকসজ্জাসহ অনেক মণ্ডপে বিশেষ প্রার্থনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবীদুর্গার চক্ষুদান করা হবে। এরপর সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটের মধ্যে নয়টি উদ্ভিদ (কলা, ধান, হলুদ, কচু, বেল, জয়ন্তী, অশোক, মান, দাড়িম্ব) সমন্বয়ে দেবী দুর্গার নয়টি রূপ একত্র করে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে উৎসব চলবে আগামী শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
এ বছর রাজধানী ঢাকার ২২৫টিসহ সারাদেশের প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার মন্ডপে দুর্গাপূজা শুরু হয়। সারাদেশের মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির শব্দ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের জানান দিচ্ছে।
পূজাকে ঘিরে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি কোথাও কোথাও নিযুক্ত করা হয় র্যাব-বিজিবি সদস্যদের। সাদা পোশাকে রয়েছেন গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব বলে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের মন্ডপের সামনে বিশাল প্যান্ডেল ছাড়াও মন্দিরকে সাজানো হয়েছে নতুন রঙ, সাজ ও আলোকসজ্জায়। এখানে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। সকালে ষষ্ঠীপূজার নানা আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে। পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি ছিল উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। পূজার পাশাপাশি মেলাঙ্গন চত্বরে আয়োজিত হচ্ছে মেলা।
একই অবস্থা গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজাম পেও। আকর্ষণীয় প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপসহ সংলগ্ন এলাকাকে বর্ণাঢ্য সাজ ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হল পূজামণ্ডপেও দুর্গাপূজা শুরু হয় সাড়ম্বড়ে। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের মণ্ডপে সন্ধ্যায় গত বছরের প্রতিমা মন্দিরের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। হিন্দু অধ্যুষিত পুরান ঢাকার অলিগলিতেও উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বনানী মাঠের পূজামণ্ডপ এবং রাজারবাগের বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটির পূজামণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও ম পে উৎসবের আমেজে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে ।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি