শায়েস্তাগঞ্জে গুদাম কর্মকর্তাকে পেটালেন আ.লীগ নেতা?

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৬

শায়েস্তাগঞ্জে গুদাম কর্মকর্তাকে পেটালেন আ.লীগ নেতা?

downloadসুরমা মেইল নিউজ : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের সরকারি গুদামের এক কর্মকর্তাকে পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সালেক মিয়া চড়-থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মেয়রের দাবি, তিনি নন, ওই কর্মকর্তাকে উত্তেজিত কৃষকেরা মারধর করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান চলছে। ধান সংগ্রহের জন্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) বনি গোপালকে পৌর মেয়র একটি তালিকা দেন। তিনি ওই তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করেন। শুক্রবার মেয়র আরও কিছু লোক পাঠান। তখন বনি গোপাল তাঁদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে পৌর মেয়র ক্ষুব্ধ হন। এই প্রেক্ষাপটে মেয়র কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বনি গোপাল মুঠোফোন ধরেননি। পরে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে মেয়র সন্ধ্যায় বনি গোপালের বাসভবনে যান। তাঁকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মেয়র তাঁর লোকজনের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ না করা ও মুঠোফোন না ধরার কারণ জানতে চান। তখন সংগ্রহকারী ওই কর্মকর্তা বলেন, আপনার তালিকামতো তো অনেক ধান নিয়েছি। এখন কৃষকদের ধান না নিলে সমস্যা হবে। এ কথা শোনার পর মেয়র ও তাঁর লোকজন বনি গোপালকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারেন।

পরে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এমরানসহ আরও কিছু নেতা-কর্মী মেয়রসহ অন্যদের শান্ত করেন। এমরান প্রথম আলোর কাছে পরিস্থিতি শান্ত করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মারধরের শিকার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি-এলএসডি বনি গোপাল বলেন, মেয়র যে তালিকা দিয়েছেন, সেই তালিকা তিনি পূরণ করেছেন। নতুন করে মেয়র আরও লোকজন পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি তিনি জানতেন না। এ ছাড়া মুঠোফোন না ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র তাঁর বাসায় আসেন এবং এ ঘটনা ঘটান।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল রশিদ তালুকদার বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তিনি শুক্রবার রাতে মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে খাদ্যগুদামে গিয়ে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেন।

নিজে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়া বলেন, ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তা নানা অনিয়ম করে আসছিলেন। স্থানীয় কৃষকেরা এ বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জানতেই ওই কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তিনি খাদ্যগুদামে যান। সেখানে গিয়েও দেখেন কৃষকদের ধান না নিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার সুপারিশে ৪০ টন ধান নেওয়া হচ্ছে। এ সময় উত্তেজিত কৃষকেরা ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com