সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
সুরমা মেইল : সিলেট শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। পুলিশ কনেস্টবলসহ তিনজনের ডাবল ফাঁসি ও একজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ সাঈদ হত্যায় সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদাকে ফাঁসির রায় ঘোষনা করেন। এছাড়াও ওই মামলার আরেক আসামি ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুমকে খালাস প্রদান করেন তিনি।
গত ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা এবং ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম।
অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
আদালত সূত্র আরো জানায়, শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭জন সাক্ষীর বিপরীতে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১৭ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মাত্র ৮ কার্যদিবসে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক।
সর্বশেষ গতকাল রোববার অষ্টম কার্যদিবসে প্রথমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আদালতের পিপি অ্যাডাভোকেট আব্দুল মালেক। পরে আসামিপক্ষের সাতজন আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি