শেখ হাসিনা সিলেটে আসছেন তাই সাজ সাজ রব

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬

শেখ হাসিনা সিলেটে আসছেন তাই সাজ সাজ রব

hasina
ফয়ছল আহমদ : বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আসছেন তাই সাজ সাজ রব হাওয়া বইছে সিলেট নগরীতে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শ্লোগানে বাজছে মাইকের হরণ। বিরামহীন ভাবে মাঠে কাজ করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা, জেলা আর মহানগরের নেতাদেরতো এক কথায় ঘুম হারাম হয়ে আছে কয়েক দিন থেকেই। ইতোমধ্যে একাধিক বার নেত্রীর জনসভাস্থল সিলেট আলীয়া মাঠ পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা এবং মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরাও সভাস্থল পরিদর্শনসহ নগরীতে নিরাপত্ত্বা বেষ্টনির ছক তৈরী করে মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন গোয়েন্ধার সংস্থার একাধিক টিম। যাহাতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরী কিংবা তার আশপাশ এলাকায় কোন জঙ্গি কিংবা কেউ কোন ধরনের নাশকতা ঘটনাতে না পারে সে দিকে দৃষ্টি রেখেই বিভিন্ন স্থরে সাজানো হয়েছে প্রশাসন। অপর দিকে গত কয়েক দিন থেকে সিলেটের জঙ্গি হামলার আশংখ্যা করেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরল ইসলাম নাহিদ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও এসএমপি পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান। এসএমপির কমিশনার জঙ্গি তৎপরতা রোধ করতে বিভিন্ন থানার মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনের সাথে একাধিক বৈঠক করছেন। কারণ বারবারই জাতীর জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ বার তাকে টার্গেট করে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে, আর সম্প্রতি প্রশাসন ও একাধিক মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা রকম প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের মাঝেও দেখা দিয়েছে উৎকন্ঠা। কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করেও উৎ সবরে নগরীরতে পরিনত হয়েছে সিলেট নগরীর ও আশপাশ এলাকা চারদিকে শুধু রং ব্যারঙ্গের শ্লোগান সম্ভলিত পোষ্টার ব্যানার শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে নেত্রীর জনসভাস্থলের চার পাশে তিল ধরনেরটাই নেই পোষ্টার ব্যানার আর ফেষ্টুনের জন্য। সিলেটের একটা ঐতিহ্য রয়েছে রাজনৈতিক মহারথীদের সবসময়ই বিপুল আয়োজনে বরণ করেন সিলেটের দলীয় নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে দলের প্রধানদের আগমনে নেতাকর্মীদের মাঝে অন্যরকম এক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। সকল স্থরের নেতাকর্মীরা যেন নতুন করে জেগে ওঠেন আনন্দে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফর এবং আলিয়া মাদ্রাসা আয়োজিত সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী দলগুলো। গত কয়েকদিন ধরে পাল্টে গেছে চিরাচরিত সিলেটের দৃশ্য। মাইকিং, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারিং এ বদলাচ্ছে সিলেট। আর এ সফরকে পুরো গোছালো এবং বিশাল করতে বিশ্রামহীন দিন পার করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ২১ জানুয়ারি সকালে সিলেট পৌঁছাবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ’র সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বেলা আড়াইটায় সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভার আয়োজন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, সমাবেশের প্রস্তুতি ব্যাপকভাবে নেয়া হয়েছে, আশা করি বরাবরের মতো সিলেটের আপামর জনগণ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এসে জননেত্রীকে বরণ করে নেবে। আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি, জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চায় তারা। এ লক্ষ্যে কয়েক দিন ধরে দলের সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, উপজেলা ও ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা।এসব সভা থেকে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এ ধরণের সভা সকাল থেকে শুরু করে দীর্ঘরাত পর্যন্ত চলছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে চলছে একটানা মাইকিং। পাশাপাশি শহরের প্রায় সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুন। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী। সিলেটে তিনি বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন। সিলেটবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাস করে এবং আস্থাশীল। ২১ তারিখের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে সিলেটবাসী প্রমাণ করবে এ অঞ্চল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আগমন উপলক্ষ্যে তেলীহাওর ছাত্রলীগের কালীবাড়ী শাখার উদ্যোগে শুক্রবার নগরীর কালীবাড়ী পয়েন্ট থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মদিনা মার্কেট পয়েন্ট গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট মহানগর সহ জেলার প্রায় সব কয়টি থানায় কর্মী সমাবেশ করে শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, জেলা যুবলীগ একই ভাবে অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে। এ দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয় গতকাল শনিবার দুপুর ২ টায়। আয়োজিত বর্ধিত সভায় যোগ দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন। প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আগামী ২১ জানুয়ারী সিলেটের জনসভা সফল করতেই এ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়ে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল কিংবা নগরীতে যাহাতে ছাত্রলীগের ক্ষমতাসীন গ্রুপ ও বিদ্রোহী গ্রুপ কোন ধরনের বিশৃংখলা না ঘটায় তা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। বিশৃংখলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বর্ধিত সভায় বলেন কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com