সিলেট ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : বিশ্বনেতাদের আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে পানামা পেপার্স। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন- সবাইকেই বেকায়দায় ফেলেছে পানামার এই নথি। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও। পুতিনের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আর্থিক কেলেঙ্কারি উঠে আসায় সন্দেহ করা হচ্ছে পুতিনকেও। তবে তার দাবি, তাকে বেকায়দায় ফেলতেই ফাঁস করা হয়েছে গোপন এই নথি। রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করতেই যুক্তরাষ্ট্র এই ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এবার পানামা পেপার্স ফাঁসের ঘটনায় উঠে এসেছে ভিন্ন এক তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্লিফর্ড গ্যাডি নতুন এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। নব্বইয়ের দশকে গ্যাডি রুশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। পুতিনকে নিয়ে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বইও আছে তার। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের ওয়েব সাইটে লেখা একটি ব্লগে নিজের দাবির পক্ষে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন গ্যাডি। আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের নাম থাকলেও তার নাম নেই। এটি পুতিনের চালাকি বলেই মনে করছেন এই গবেষক। সহচরদের তুলনায় নিজেকে সৎ প্রমাণ করতে পুতিন পানামা পেপারস ফাঁসে উৎসাহ দিয়ে থাকতে পারেন বলে দাবি গ্যাডির। তিনি মনে করেন, রুশ সরকারের সমর্থন রয়েছে এমন একজন হ্যাকার নথিগুলো ফাঁস করে তা ই-মেইলের মাধ্যমে একটি জার্মান দৈনিকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফাঁসের এই ঘটনা ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ঘটেছে বলেও ধারণা তার। তবে এতোদিন তা প্রকাশ করা হয়নি। পানামা পেপার্সে সামান্য কিছু মার্কিনির নাম থাকা প্রসঙ্গে গ্যাডি বলেন, মূলত তাদের নাম ইচ্ছে করেই ফাঁস করা হয়নি। এদের ব্যবহার করে নিজের কোনো স্বার্থসিদ্ধি করার অভিপ্রায় থাকতে পারে পুতিনের। ভবিষ্যতে যাতে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা যায় সে কারণেই তাদের কেলেঙ্কারি ফাঁস করেননি পুতিন।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি