সালমানের আলোচিত সাবেক প্রেমিকারা

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৫

সালমানের আলোচিত সাবেক প্রেমিকারা
salman lovers
সুরমা মেইলঃ বলিউডের আর সব খানদের চাইতে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সবচাইতে বেশি এগিয়ে আছেন যিনি, তিনি আর কেউ নন, বলিউডের ভাই নামে পরিচিত সালমান খান। দুর্দান্ত একটি পরিবার, প্রচন্ড পরিশ্রম করার ক্ষমতা, অসাধারণ অভিনয়- এ সব কিছুই বিখ্যাত হতে সাহায্য করেছে সালমানকে। তবে এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশ কিছু জিনিস পত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে ছাপিয়ে দিয়েছে সালমানের নামকে। আর সেগুলোর একটি হচ্ছে সালমান খানের প্রেমিকারা। বয়স ৪৯ এর কোঠায় থাকলেও এখনি অব্দি বিয়ের সিঁড়িটা পেরুনো হয়নি সাল্লু ভাইয়ের। তবে তাতে কী? একের পর এক নতুন নারীকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়েছেন সালমান খান। তাদের কেউ খানিকটা সময় টিকে গিয়েছে, কেউ সিনেমার সেটের সঙ্গে সঙ্গেই বিদায় নিয়েছে ভাইয়ের কাছ থেকে। একের পর এক এত এত নারীকে ভালোবেসে ব্যর্থ হয়েও কিন্তু ভালোবাসার এতটুকু ঘাটতি পড়েনি সালমান খানের হৃদয়ে। জয় হো সিনেমাতে অভিনয় করার সময় নিজের সহ-অভিনেত্রী সানা খানের সঙ্গে নতুন করে প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয় সালমানের। আর এর আগে তালিকায় ডেইজি শাহের নাম তো ছিলই। তাই আসুন দেখে নেওয়া যাক সালমানের চলচ্চিত্র জীবনের কিছু জানা- অজানা প্রেমিকার কথা।

সঙ্গীতা বিজলানি : সঙ্গীতার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক দিয়েই চলচ্চিত্র দুনিয়ায় সালমানের প্রেমের খাতা খোলা হয় বলে গুঞ্জন আছে। তবে এর আগে স্কুল বা কলেজের কথা জানা যায়নি কখনো। ১৯৮০ সালে মিস ইন্ডিয়া জেতেন সঙ্গীতা। প্রতিবারের মতোই মিস ইন্ডিয়ার প্রতি টানটা একটু বেশিই ছিল সাল্লুর। বেশ ভালো সম্পর্ক আর পরবর্তীতে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের ভেতরে। অবশ্য পরবর্তীতে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় দুজনের। ক্রিকেটার আজহারউদ্দীনকে বিয়ে করে নেন সঙ্গীতা। এখনো সঙ্গীতার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়ে গিয়েছে সালমান খানের। কিছুদিন আগেও ভারতে এলে তাকে নিজেদের ঘরে নিয়ে যান সালমান। তার পরিবারও সঙ্গীতাকে আপন করে নেয় খুব সহজেই। গুজব ছড়ায় পুরনো প্রেম নাকি হালে পানি পেয়েছে।

সোমি আলি : অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে সালমানের দেখা হয় যখন সোমির বয়স ১৯। ১৯৯৩ সালে সম্পর্কে জড়ান তারা। গভীরভাবে একে অন্যকে ভালোবেসে ফেললেও পরবর্তীতে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় সোমির সঙ্গেও। মদ্যপান আর খারাপ আচরণের জন্যেই সোমি সালমানকে ছেড়ে দেন বলে গুজব রয়েছে। এরপর বিদেশে চলে যান এই অভিনেত্রী। তার অভিনয় জীবনে ভাঁটা পড়ে।

ঐশ্বরিয়া রায় : ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমানের ভালোবাসার সম্পর্কটি পৃথিবীর কাছে অনেকটা খোলা বইয়ের মতো স্পষ্ট। তবে সালমান খানের আর সব প্রেমিকাদের ভেতরে সবচাইতে বিখ্যাত হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াই। তাদের প্রেম নিয়ে খবর রটে গিয়েছিল সবখানে। কিন্তু শেষ অব্দি সালমানের আচরণের কারণে তাকে ছেড়ে আসতে বাধ্য হন ঐশ্বরিয়া। সালমানের বাবা সেলিম খান নিজে গিয়ে অনুরোধ করেন অ্যাশকে। কিন্তু চিড়ে ভেজেনি। মনে করা হয় ঐশ্বরিয়াকেই সবচাইতে বেশি ভালোবেসেছিলেন সালমান। যেটা কিনা এখনো অব্দি টিকে রয়েছে। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে। ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হলো, সন্তান হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঐশ্বরিয়ার নাম শুনলে মুখটা নামিয়ে ফেলেন সালমান। তার ঠোঁটের কোণে দেখা যায় একটু হাসি।

স্নেহা উল্লাল : ঐশ্বরিয়া ছেড়ে যাওয়ায় তার বদলে ঠিক একই রকম আরেকজন অভিনেত্রীকে খুঁজে নিয়ে আসেন সালমান। স্নেহা উল্লাল নামে ঐশ্বরিয়ার মতো হুবহু দেখতে এই নায়িকা লাকি সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পান কেবল নিজের চেহারার জোরে। সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তারও। তবে সেটা টেকেনি শেষ অব্দি! তবে সবসময়েই নিজের হাত স্নেহার ওপরে রেখেছেন সালমান। সামনেই স্নেহাকে আবার বলিউডে নিয়ে আসবার পরিকল্পনা রয়েছে সাল্লুর।

ক্যাটরিনা কাইফ : বলিউডে এসে প্রথমটায় খুব একটা ভালো কিছু করে উঠতে পারেননি ক্যাটরিনা। প্রায় ডুবে যাওয়া এই অভিনেত্রীর হাত তখন তুলে ধরেন সালমান খান। আরো সব অভিনেত্রীর মতো ক্যাটরিনাকেও সাহায্য করেন নায়িকা হয়ে উঠতে। নায়িকা হয়ে যায় ক্যাটরিনা। তবে ২০১০ সালে রণবীর কাপুরের সঙ্গে আজব প্রেম কি গজব কাহানিতে অভিনয়ের সময় রণবীরের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে সালমানকে ছেড়ে যান এই নায়িকা। ক্যাটরিনার সঙ্গে থাকা ভালোবাসার সম্পর্ককেই সাল্লুর সর্বশেষ সত্যিকারের ভালোবাসা বলে মনে করে সবাই।

ক্লডিয়া সেজলা : সালমান তো সালমান, তার পরিবারকেও একেবারে নিজের বশে নিয়ে ফেলে জার্মান এই অভিনেত্রী। নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই দুজনকে। জনসম্মুখেই বেশ ঘনিষ্ঠতা আর পরিবারের সঙ্গে এই হৃদ্যতা গড়ে তোলায় ক্লডিয়াকে নিয়ে খুব জোরেসোরেই কথা চলে মিডিয়াতে। বিয়ে অব্দি গড়ায় সে গুঞ্জন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নৌকা আর ঘাটে ভেড়েনি। বিদেশে ফিরে যায় ক্লডিয়া।

জেরিন খান : সেই একই গল্প! তবে এবার ঐশ্বরিয়ার নয়, ক্যাটরিনার মতো দেখতে একজনকে ধরে নিয়ে আসেন সালমান। ভীর নামের ব্যবসা সফল সিনেমাতেও অভিনয় করেন তিনি জেরিনকে নিয়ে। লাকি সিনেমাটির মতোই এ সিনেমাতেও মিঠুন অভিনয় করেন সালমানের সঙ্গে। অনেক স্থানে তাদেরকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এবং নিজেদেরকে আজ অব্দি খুব ভালো বন্ধু বলে পরিচয় দিলেও মিডিয়ায় রটে যায়, জেরিনের সঙ্গেও নাকি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সালমান।

মাহেক চাহেল : বিগ বসে সালমানের উপস্থিতি সবসময়েই দর্শক আর ভক্তদের মনে এনে দিয়েছে অন্যরকম এক অনুভূতি। আর এই বিগ বসেই সালমান জানান মাহেকের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। সবার সামনেই নিজের ভালোলাগার কথা প্রকাশ করার পর থেকেই সালমানের প্রেমিকাদের তালিকায় জড়িয়ে যান অভিনেত্রী মাহেক চাহেলও।

ডেইজি শাহ : সালমানের প্রেমিকাদের তালিকা আরো একবার সমৃদ্ধ হয় যখন জয় হোর মাধ্যমে নৃত্যশিল্পী ও পরিচালক ডেইজি শাহকে প্রধান নারী চরিত্রে নিয়ে আসেন সালমান। ডেইজির সঙ্গে তার অতিরিক্ত মেলামেশা আর অন্তরঙ্গতা চোখ এড়ায়নি কারোরই। তার ওপর এতবড় সুযোগ দেওয়া! কিন্তু তো একটা উঠেইছিল বলিউডে। আর সেই কিন্তুর ফসল হিসেবেই সালমানের প্রেমিকাদের তালিকায় পড়ে যান ডেইজি।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ : কিক সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমানের বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। পরবর্তীতে তাকে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া নিয়ে সবার আলোচনায় পড়ে যান সালমান। অস্বীকার করেন জ্যাকুলিনকে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা। তবে বললেই হলো? এখনো অব্দি সালমানের সঙ্গে অন্যরকম কোনো সম্পর্ক আছে জ্যাকুলিনের বলে মনে করে মিডিয়া।

লুলিয়া ভ্যানচুর : কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেল সালমান খানের ও তেরি ছবিটি। সিনেমাতে সালমান ছিলেন না বটে, তবু সিনেমার আইটেম গানে নেচে যাওয়া রোমানিয়ান অভিনেত্রী লুলিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সালমানের নাম। তারা দুজনে বেশ ভালো কিছু সময় কাটান। দেশে এবং বিদেশেও! ব্যয়বহুল ট্রিপে যান তারা। এবং তাদের দুজনকে একে অন্যের সঙ্গে বেশ খুশিও দেখা যায়। এমনকি নিজের ছোট বোন অর্পিতার বিয়েতে লুলিয়াকে নিজের প্রেমিকা বলে পরিচিত করে দেন সালমান।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com