সিলেটের বটেশ্বরে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে শিলং ছড়া জবর দখল

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৬

সিলেটের বটেশ্বরে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে শিলং ছড়া জবর দখল

Untitled-1
সুরমা মেইর নিউজ : সেনানিবাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে শিলং ছড়া দখল করে নিয়েছেন এক লন্ডন প্রবাসী, তিনি অবশ্য কারো তোয়াক্কা করেন না তার খুব কাছের লোক নাকি পুলিশের আইজিপি শহিদুল হক। এলাকাবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পেতে বারবার নিষেধ বাধা দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে স্বরনাপন্ন হয়েছেন খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। এখন দেখার বিষয় সেনানিবাস এলাকা ও তৎসংগ্ন মলাইটিলা এবং চুয়াবহর এলাকাবাসীকে কি জলাদ্বতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। নাকি তিনিও আইজিপির ভয়ে নিরব থেকে যাবেন। স্থানীয় এলাবাসীর করা গণসাক্ষরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্থানীয় হারিছ আলীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী ইমদাদুল হক চৌধুরী তার বসতবাড়ীর সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে শিলং ছড়ার প্রায় আশি শতাংশ জবর দখল করে নিজের সিমানার ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এতে সেনানিবাস ও উল্লেখিত এলাকার একমাত্র পানি নিষ্কাষনের ছড়াটি বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার জনসাধারণ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ইমদাদুল হক বহিরাগত কেডার দিয়ে নিরিহ মানুষকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন। এরপর বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বেলালকে জানালে তিনি নিজে ছড়াটি উদ্ধার করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসেন। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীগত ৮মার্চ ২০১৬ ইং তারিখে গণসাক্ষরকৃত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে। ইমদাদুল হক স্থানীয় স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার জনসাধারনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও বন্ধ করে মাঝে মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারণ ছড়া দখল করার পলে ছড়ার পানি বন্ধ হয়ে রাস্তাটি পানির নিচ তলিয়ে যায়।এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং তারিখে এলাকার মানুষ স্থানীয় উপজেলা চেয়াম্যান আশফাক আহমদকে বিষয়টি অবহিত করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয় “আমি আইজিপির কাছের লোক আমার কাজে বাধা দিলে জেলে যেতে হবে”। উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী আবারও জবর দখলের হাত থেকে পানি নিস্কাষনের একমাত্র শিলং ছড়াটি রক্ষা করতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর স্বরাপন্ন হয়েছেন। উল্লেখ্য বিগত ১/১১ সরকারের সময়ে শিলং ছড়ার পানি নিষ্কাষন বন্ধ হয়ে গেলে সেনানিবাস এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় পরে সেনাবাহিনীর নিজ উদ্দ্যেগে ছড়াটি সংস্কার করে পানি নিষ্কাষনের উপযোগী করা হয়। কিন্তু ইমদাদুল হকের জবর দখলের ফলে আবার সেনানিবাস-মলাইটিলা- চুয়াবহর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com