সিলেটের শুল্ক ফাঁকি দেয়া সেই বিলাশ বহুল গাড়িটি উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৬

সিলেটের শুল্ক ফাঁকি দেয়া সেই বিলাশ বহুল গাড়িটি উদ্ধার

Manual3 Ad Code

BMW2-
সুরমা মেইল নিউজ : টানা ৩৬ ঘন্টার অভিযানে অবশেষে আম্বরখানা বিএম টাওয়ারের মালিকের ব্যবহৃত সেই মার্সিডিজ কার আটক করা হয়েছে। কারনেট সুবিধার আওতায় গাড়িটি দেশে এনে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে গাড়িটি আটক করা হয়েছে। শুল্কসহ গাড়িটির মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। বর্তমানে গাড়িটি কাস্টমস গোয়েন্দা সেলের হেফাজতে রয়েছে।

এনবিআর-এর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সিলেট’র সহকারী পরিচালক প্রভাত কুমার সিংহ জানান, শনিবার রাত ১২টায় সিলেট নগরীর আম্বরখানা বিএম টাওয়ারের গ্যারেজ থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির বর্তমান মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মালিকের গ্যারেজ (ই-১২, বিএম টাওয়ার, আম্বরখানা) থেকে এটির উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে সেখানে অভিযান চালিয়েও গাড়িটি উদ্ধার করা যায়নি।

Manual5 Ad Code

সংশ্লিষ্টরা জানান- সারা দেশে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সিলেটেও কর ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়ির খুঁজে নামে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডঃ মইনুল খান স্থানীয় কর্মকর্তাদের সিলেটের আম্বরখানার বিএম টাওয়ারে পার্কিংয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মুল্যে ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ’ গাড়ি (ঢাকা-৬১৪/ও) রয়েছে বলে তথ্য দেন। মহাপরিচালকের নির্দেশনায় শুক্রবার সকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, বিষয়টি আচ করতে পেরে গাড়ির মালিক সেখান থেকে গাড়িটি সরিয়ে ফেলেন।

প্রভাত সিংহ জানান- কারনেট সুবিধার আওতায় কাস্টমস ডিউটি ছাড়াই ২০১২ সালে গাড়িটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ে গাড়িটি ফেরত দেয়া হয়নি। কারনেট সুবিধার আওতায় বিদেশি কোন গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য শুল্ক ছাড়া দেশে প্রবেশের বিধান রয়েছে। তবে ঐ মেয়াদেও মধ্যেই পুনরায় গাড়িটি নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে হবে। মূলত প্রবাসীদের কারনেট সুবিধা দেয়া হয়।

Manual6 Ad Code

প্রভাত কুমার আরো জানান- মালিক গাড়িটি ফিরিয়ে না দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গোপনে খবর পেয়ে কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স শুক্রবার সকালে গাড়ির মালিকের বাসায় অভিযান চালায়। সেখানে গাড়িটি না পেয়ে আরো বিভিন্ন স্থানেও অভিযান চালানো হয়। অবশেষে শনিবার রাতে গাড়ির মালিকের বাসা থেকেই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। ২০০৬ সালের এই গাড়িটি মডেল সিডিআই এলিগেন্স, সিসি ১৯৮০।

Manual7 Ad Code

গাড়ির মালিক আব্দুল মালিক এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে এনবিআর-সব ধরণের রুলস অনুসরণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রভাত কুমার সিংহ। প্রভাত জানান- চারকোটি মূল্যের এ গাড়িটির শুল্ক হচ্ছে প্রায় এক কোটি টাকা।

Manual6 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code