সিলেটে চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬

সিলেটে চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Police

সুরমা মেইল নিউজ : সিলেটে চাঁদাবাজি মামলায় পলাতক তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এক চিকিৎসকের দায়ের করা মামলায় সোমবার বিকেলে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ পরোয়ানা জারি করেন।

সোমবার মামলার প্রধান আসামি কারাগারে আটক থাকা সাময়িক বরখাস্তকৃত কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে আবারো কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আদালতে আসামি মাসুদ রানার পক্ষে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি।

অ্যাড. অমরেন্দ্র নারায়ন ভুট্রাচার্য্য জানান, সোমবার এসআই মাসুদ রানার চাঁদাবাজি মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। ধার্য তারিখ অনুযায়ী আসামি মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে আবারো কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক থাকা অপর তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের জারি করেছেন। আগামী তারিখের আগে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর খারপাড়া মিতালী ৭৪নং বাসার মালিক ডা. একেএম নূরুল আম্বিয়া রিপন মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি দরখাস্ত মামলা (নং-১০৪৯/১৫) দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি সরাসরি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এই মামলার কার্যক্রম বর্তমানে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে চলছে। এরপর থেকে পুলিশের এসআই মাসুদ রানাসহ তিন পুলিশ কনস্টেবল পলাতক ছিলেন।

এর মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বরখস্তাকৃত এসআই মাসুদ রানা হঠাৎ মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ওই মামলায় জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার তৎকালীন এসআই মাসুদ রানার নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য খারপাড়ায় ডা. একেএম নুরুল আম্বিয়ার বাসায় যান সন্দেহভাজন আসামি ধরার নাম করে। ওই রাতে পুলিশ ডা. একেএম নুরুল আম্বিয়াকে নিয়ে নগরীর বারুতখানাস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন ও তার স্বাক্ষরসহ একটি ব্যাংক চেক নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।

এরপরও এসআই মাসুদ রানা বিভিন্ন সময় ওই চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে টাকা চাওয়া ও ভয়-ভীতি দেখান। ২৯ আগস্টের ঘটনার পর হয়রানি ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-উত্তর) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডা. আম্বিয়া। লিখিত অভিযোগে তিনি নগদ ১০ হাজার টাকা ও তার স্বাক্ষরসহ একটি ব্যাংক চেক নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

পরে ডা. আম্বিয়ার ওই অভিযোগ এসএমপি পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হলে এসআই মাসুদ রানাসহ তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com