সিলেটে নির্মাণ শ্রমিক কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৬

সিলেটে নির্মাণ শ্রমিক কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

2016_05_02

সুরমা মেইল নিউজ : সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় ইসলাম হোসেন (৩৫) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা তোতা মিয়া বাদি হয়ে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেট কোতোয়ালী মেডেল থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জন আসামি রয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ নং শাহারপাড়া মুরাদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইসমত উল্লার ছেলে জামাল উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার ৭ নং শাহারপাড়া সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে লিটন আহমদ হরফে ছইলা লিটন (৩০), কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা আঙ্গুরা বেগমের ছেলে রুহেল আহমদ (৩২), জগন্নাথপুর থানার তেগরী গ্রামের বাসিন্দা এখলাছ মিয়ার ছেলে মুরছালিন (৩৫), একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই’র ছেলে শাহিনুর (২৯) ও বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. কামাল হরফে দা কামাল (৩০)।

তাদের মধ্যে জামাল উদ্দিন নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় মজনু মিয়ার কলোনিতে, লিটন শামীমাবাদ এলাকায়, মুরছালিন শামীমাবাদ ৬ নং রোডে, শাহিনুর শামীমাবাদ এলাকায় ও দা কামাল শহরতলী তেমুখীস্থ হাবিব রেস্টুরেস্টে থাকে।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় নির্মাণ শ্রমিক ইসলাম হোসেন (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ইসলাম হোসেন শামীমাবাদ এলাকার ১২৬ নং বাসার তোতা মিয়ার ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায়।

নিহত ইসলাম হোসেনের ছোট ভাই আরমান হোসেন জানান, রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন যুবক বাসায় গিয়ে ইসলাম হোসেনের খোঁজ করতে থাকে। যুবকদের তিনজন নিজেদেরকে কবির, জামাল ও রানা বলে পরিচয় দেয়। এসময় ইসলাম বাসায় না থাকায় তারা চলে যায়।

আরমান হোসেন আরো জানান, পরে শামীমাবাদ এলাকার ৭ নং রোডের ৬নং গলির লেচু মিয়ার বাসার সামনে ইসলাম হোসেনকে পেয়ে তার ওপর হামলা চালায় কবির, জামাল, রানাসহ ৬-৭ জন যুবক। ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানো হয় ইসলাম হোসেনকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

আরমান হোসেনের অভিযোগ, গত ২৮ এপ্রিল নগরীর জিন্দাবাজারে একটি ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল জামাল ও কবির। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাদের (ইসলাম হোসেন) ছোট ভাই আসাদ সাক্ষ্য দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় জামাল ও কবির।

এছাড়া ওই দু’জন ইসলাম হোসেনের কাছে প্রায়ই চাঁদা দাবি করতো বলেও অভিযোগ আরমান হোসেনের। এর প্রেক্ষিতে তারা ইসলাম হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে তার অভিযোগ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com