সিলেট জেলা শ্রমিক জোট’র কদমতলী, বাইপাস, ওভারব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর শাখার জরুরী ও প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৪

সিলেট জেলা শ্রমিক জোট’র কদমতলী, বাইপাস, ওভারব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর শাখার জরুরী ও প্রতিবাদ সভা

সিলেট :
সিলেট জেলা অটোটেম্পু/অটোরিক্সা চালক শ্রমিক জোট রেজিঃ নং:- চট্ট ২০৯৭ এর অন্তর্ভুক্ত কদমতলী, বাইপাস, ওভারব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর শাখার কার্যালয়ে এক জরুরী ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২০ মে) বিকেল ৩টায় কদমতলী, বাইপাস, ওভারব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি মোঃ মুছা মিয়ার আহব্বানে সকল উপ-পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত সভায় বক্তব্যে কদমতলী, বাইপাস, ওভারব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি মোঃ মুছা মিয়া বলেন, উল্লেখ্য যে, গত ৪ মাস থেকে জেলা কার্যালয়ে কোন সু-বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদের সভাপতি মাখন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আমার কার্যালয়ে আসিয়া আমাকে অনুরোধ করে যে তাদের উক্ত ঘটনার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য। তারা আমাকে অনুরোধ করায় আমি তাদের বিচারের ব্যবস্থা নেই। পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদের সভাপতি মাখন ভাইকে অফিসে জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল আলিম ভাসানি উপস্থিত হয়ে মাখন ভাইকে উপ-পরিষদের কমিটির সাথে আলাপ-আলোচনা করে অনুরোধ করেন। তখন মাখন ভাই ভাসানিকে বলেন যে, মুছা মিয়া এটিকে বিচারের আওতায় নিয়েছেন। অতপর: আব্দুল আলিম ভাসানি সাহেব বলেন, আমাদের জেলা কার্যালয়ে সম্মান রক্ষার স্বার্থে এই বিচারটি হউক। তখন আব্দুল আলিম ভাসানি গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদের সবাইকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ এলাকার মুরুব্বিয়ান ও কাউন্সিলর হেলাল সাহেবের সাথে আলাপ-আলোচনা করে উভয় পক্ষ মতামত করে তাদের জেলা কার্যালয়ে বসার সিদ্বান্ত নেন। তারপর যেদিন বিচার সালিশ হয় জেলা কার্যালয়ে সেই খবরটি আমাকে জেলা কমিটি দেয় নাই। এমনকি অন্যান্য উপ-পরিষদের নেতৃবৃন্দকে দাওয়াত দিয়েছে। ওইদিন মাখন ভাই, জাহেদ ভাই ও লেছ ভাই আসিয়া আমাকে বলেন যে, আজকে জেলা কমিটির কার্যালয়ে আমাদের বিচারে আমাদের সাথে আসেন। আমি বলি কিসের বিচার আমি তো কিছু জানিনা। তখন মাখন ভাই বলেন আপনাকে কি জেলা কমিটি দাওয়াত দেয় নাই? তখন আমি বলি যে না আমাকে জেলা কমিটি দাওয়াত দেয় নাই। তারপর মাখন ভাই, জাহেদ ভাই ও লেছ ভাইসহ গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদের সবাই আমাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করেন জেলা কমিটির বিচারে যাওয়ার জন্য তখন আমি জেলা কমিটির সদস্য ও আমার উপ-পরিষদের সাবেক সেক্রেটারি মো: সবুজ মিয়াকে ফোন দিয়ে বলি যে, সবুজ ভাই গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদ হইতে মাখন ভাই, জাহেদ ভাই ও লেছ ভাই আসিয়া আমাকে জেলা কমিটির বিচারে যাওয়ার অনুরোধ করতেছে। তখন সবুজ মিয়া বলেন যে তুমি কেন বিচারে যাবে? তোমাকে কি দাওয়াত দিয়েছে? আমি বলি যে না আমাকে দাওয়াত দেয় নাই তখন সবুজ মিয়া বলেন তুমি যাবা না বিচারে। তখন আমি তাদেরকে না করি যে, আমি বিচারে যাবো না। তারপরও তারা আমাকে জোর করে বিচারে যাওয়ার জন্য। এরপর আমি বিচার চলাকালীন জেলা কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হই হয়ে আমি একটি প্রস্তাব দিতে গেলে তখন তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বের হয়ে যেতে বলে। তাদের কথা শুনে আমি হতমম্ভ হয়ে যাই। তারপরে তারা আমাকে টেনে হিচড়ে অফিসের নিচে নামিয়ে দেয়। এছাড়া আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিসহ আমার জান-মালের ক্ষতিসাধন করিবে বলে হুমকি দেয় এবং সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে আসে আমাকে মারার জন্য।

 

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, কদমতলীর বিশিষ্ট মুরব্বি লুদু মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, কাদির মিয়া, ইসলাম মিয়া, রিপন, সোহেল, হাসান, ইমন, রিয়াদ, ইসরাঈল, সফিক, আলী, কালা মিয়া, আমিনুল, ওভারব্রীজ শাখার ইসলাম, সুনামপুর শাখার আমির হামজাসহ আরো অনেক শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

(সুরমামেইল/সংবাদবিজ্ঞপ্তি)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com